প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

0

ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা এবং হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি ২০২৪) সংবাদ মাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, “স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ এবং ট্রেজারার নিয়োগসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করছিলো প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল ৭ জানুয়ারি, তারা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে এবং একপর্যায়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের জন্য সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করতে যান এবং বাকিরা বাইরে অবস্থান নেন। বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশ বাহিনীর দমন-পীড়নের চিত্র যেন আবার ফিরে এলো এই ঘটনায়। এই শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে তারা গতকাল শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে তাদের দাবি তুলে ধরতে যায় এবং পুলিশি বর্বরতার শিকার হয়। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যেকোনো ন্যায়সঙ্গত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন।”

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের প্রেরণা হিসেবে রয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পুলিশ এবং সরকার যে কায়দায় দমন করলো তা জনমনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থায়ী ক্যাম্পাস এবং শিক্ষক নেই। ট্রাস্টি বোর্ডের দুর্নীতি, টিউশন ফি বৃদ্ধি, এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা-হরণসহ নানা ধরনের সংকটে জর্জরিত এসব প্রতিষ্ঠান। এতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত পোষণ করছি এবং অবিলম্বে দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তাওফিকা প্রিয়া।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More