বড়গোপটিলার মাঠটি গারোদেরই থাকলো, খেলতে হবে মিলেমিশে

0
12

অনলাইন ডেস্ক।। নানা জটিলতা শেষে সামাজিক শালিস ও প্রশাসনের হস্থক্ষেপে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত খেলার মাঠ ফিরে পেয়েছে তাহিরপুর সীমান্তের উত্তর বড়দল ইউনিয়নের গারো সম্প্রদায়ের লোকজন।

বড়গোপটিলায় ৭২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত গারো মাঠটি গারোদেরই থাকবে বলে ঘোষণা দিলেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। শনিবার দুপুরে গারো মাঠে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ এ ঘোষণা দেন।  

শনিবার দুপুরে গারো মাঠে তৃতীয় বারের মতো মাঠ নিয়ে শালিস বসে। বৈঠকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, স্থানীয় উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর খোকন, এন্ড্র সলোমার, যুবলীগ নেতা মাসুক মিয়া, শঙ্কর মারাক, রমেশ জুয়েল সলোমার, যথীন্দ্র মারাক, পরিতোষ চাম্বুগং, সুনীল দাজেল, যুবলীগ নেতা আব্দুল মোতালেব প্রমুখ।

বৈঠক শেষে সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। তিনি মাঠ পরিচালনায় পরিচালনায় গঠিত ৯ সদস্যের কমিটির নাম প্রকাশ করেন। ৯ জনের মধ্যে ৭জন থাকবে গারো সম্প্রদায়ের লোকজন এবং ২জন থাকবে সম্প্রতি টিলায় বসতি স্থাপনকারী ২ জন বাঙালি। সপ্তাহে ৫ দিন মাঠে গারোরা খেলবে, ২ দিন অন্যরা।

এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গারোদের মাঠ ফিরিয়ে দেবার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, শালিসে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি এই মাঠ প্রতিষ্ঠাকারী গারো সম্প্রদায়ের লোকজন। তাই এই মাঠ আপনাদের ফিরিয়ে দেওয়া হলো। এখন থেকে আপনারা সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে আগের মতো খেলাধুলা করবেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, সম্প্রতি যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল মাঠ বুঝিয়ে দিয়ে আমরা ভুলের অবসান ঘটিয়েছি। আগের মতো সবাই মিলেমিশে থেলবে। আমরা উপজেলা প্রশাসন মাঠের রক্ষণাবেক্ষনের জন্য সহযোগিতা করব।

মাঠ পরিচালনাকারী সুনীল দাজেল বলেন, আমরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ গণম্যান্যদের সিদ্ধান্তে খুশি।

উল্লেখ্য বড়গোপটিলার কতিপয় যুবক মাঠ দখলের চেষ্টা করলে এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গারো সম্প্রদায়ের লোকজন মাঠ হারানো নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে নিরপেক্ষভাবে খোঁজ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জম হোসেন রতন এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ গারোদের প্রতিষ্ঠিত মাঠটি তাদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।

সূত্র : হাওর টোয়েন্টিফোর ডটনেট

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.