বন্দুকভাঙার মারিচুকে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে নান্যাচরে বিক্ষোভ সমাবেশ

0

নান্যাচর প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

রাঙামাটির বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের মারিচুকে ভূমি বেদখল করে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যাভাবে অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে নান্যচরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুর ১২টায় ‘ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ, নান্যাচর রাঙামাটি’ এর উদ্যাগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের নান্যাচর উপজেলার সদস্য সুজিত চাকমার সঞ্চালনায় ও প্রদীপ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অভিযোগ করে বলা হয়, রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের যমচুক-মারিচুকে ধর্মীয় কুটিরের এলাকায় নিরীহ সাধারণ জনগণের জমি বেদখল করে একটি নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ক্যাম্পের জন্য শান্তি কুমার চাকমা, লক্ষী কুমার চাকমা, ও শান্তি রঞ্জন চাকমার ১৫ একর ভূমি বেদখল করার চেষ্টা চলছে। ক্যাম্প স্থাপনের জন্য বর্তমানে ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে। এলাকার লোকজনকে বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না, এবং বাইরের কাউকেও সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মালামাল বহনের কাজে বিনা পারিশ্রমিকে জোরপূর্বক বেগার খাটানো হচ্ছে, যা চরম মানবাধিকার লংঘন। বর্তমানে এলাকার লোকজন ভয়ভীতি ও আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করত বাধ্য হচ্ছেন।

সমাাবেশে বক্তারা বলেন, বন্দুকভাঙা ছাড়াও লংগদু পাগলিছড়ায় ধুতাঙ্গ মৌন অরণ্য কুটিরের নামে সেনাবাহিনী অপ্রপ্রচার চালাচ্ছে, যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিন্ন জনগোষ্টির উপর অসম্মান ও ধর্মীয় অনুভূতির উপর বড় আঘাত।

বক্তারা আরো বলেন, আজকের এই সমাবেশের কিছুক্ষণ আগেও মারিচুকে অবস্থানরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জোরপূর্বক কেটে দেওয়া সুপারি বাগানে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করানোর কথা আমরা জানতে পেরেছি। যমচুক-মারিচুক এলাকায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পাহাড়িদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও জাতিগত নিপীড়নের একটি অপকৌশল।

সমাবেশ থেকে অবিলম্বে যমচুক-মারিচুকে ভূমি বেদখল করে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্র বন্ধ করা, সেখানে অবস্থানরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া, সেখানকার নিরীহ গ্রামবাসীদেরকে হয়রানি ও বিনা পারিশ্রমিকে জোরপূর্বক বেগার খাটানো বন্ধ করা, ধুতাঙ্গ মৌন অরণ্য কুটির নিয়ে অপপ্রচার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান। অন্যথায় ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More