বাঘাইছড়ি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও বর্তমানে ইউপিডিএফ’র সদস্য উদয় বিকাশ চাকমা (চিক্কেধন)-এর বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে।
আজ শুক্রবার (১১ মে ২০১৮) সকাল ১১টার সময় বাঘাইছড়ি থানার ওসি মোঃ আমির হোসেন-এর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একদল পুলিশ বঙ্গলতলী বি-ব্লক গ্রামে উদয় বিকাশ চাকমার বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় বাড়িতে কোন লোকজন না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ সদস্যরা বাড়ির দরজা-জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়।
উদয় বিকাশ চাকমা সিএইচটি নিউজ ডটকমের এই প্রতিনিধিকে বলেন, তিনি সাংগঠনিক কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির বাইরে রয়েছেন। আর তার স্ত্রীও ছেলে-মেয়ের পড়াশুনার জন্য খাগড়াছড়িতে অবস্থান করছেন। ফলে পুলিশের তল্লাশিকালে বাড়িতে কোন লোকজনই ছিল না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ইউপিডিএফ’র একজন কর্মী হওয়ার কারণেই রাজনৈতিক হয়রানি ও নিপীড়ন-নির্যাতনের অংশ হিসেবে তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বাড়িতে কোন লোকজন না থাকার পরও দরজা ভেঙ্গে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করা চুরির সমতুল্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।
একই সময় পুলিশ ওই গ্রাম থেকে অমর জীবন চাকমা (২৭), পিতা মৃত প্রফুল্ল দেওয়ান, পলাশ কান্তি চাকমা (২৫), পিতা- নরেন্দ্র চাকমা ও নিগিরাতুম চাকমা(২২), পিতা- মৃত ব্রত কুমার চাকমাকে আটক করলেও পরে বিকাল ৩টার দিকে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে পুলিশ সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি প্রভাত কুমার চাকমাকে আটক করে। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় তাদের দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ ও ৪ মে নান্যাচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও সেনাসৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনীর সর্দার তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযানের নামে জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগণের ঘরবাড়ি তল্লাশিসহ নানা হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
———————-
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।