বাঘাইছড়ি : রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে আলোচনা সভা করেছে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম বাঘাইছড়ি উপজেলা ও সাজেক শাখা। সংগঠনের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আজ সোমবার (২ এপ্রিল ২০১৮) সকাল সাড়ে ১০টায় বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলীতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি লক্ষীমিত্র চাকমার সভাপতিত্বে ও সাজেক শাখার সভাপতি সুমন চাকমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সোহেল চাকমা।
এতে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন পিসিপি’র খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য রতন স্মৃতি চাকমা, ইউপিডিএফ বাঘাইছড়ি ইউনিটের সংগঠক টাপু মনি চাকমা। সভা শুরুর আগে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছের তাদের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
যুব ফোরাম নেতা রতন স্মৃতি চাকমা বলেন, ইউপিডিএফ ও তার সহযোগি সংগঠনসমূহের উপর সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন বন্ধ করতে না পেরে নব্য মুখোশ বাহিনী সৃষ্টি করে হত্যার নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। এ পর্যন্ত ইউপিডিএফ-এর সংগঠক মিঠুন চাকমাসহ মোট ৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে জনগণের প্রতিরোধের মুখে সেনা পৃষ্টপোষিত মুখোশ বাহিনী যেভাবে বিলীন হয়ে গেছে তেমিন জনগণের প্রতিরোধের মুখে নব্য মুখোশরাও বিলীন হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, বিলাইছড়িতে দুই মারমা তরণীকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে।
পিসিপি নেতা তপন চাকমা বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমন করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলাচ্ছে। এর অংশ হিসাবে গত বছর ৫ এপ্রিল নান্যাচরে পিসিপি’র উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমাকে আটকের পর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সংগঠিত হলে পরিকল্পিতভাবে লংগদুতে পাহাড়ি গ্রামে হামলা ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তব অবস্থা।
তিনি সরকার তথা শাসকগোষ্ঠির সকল ষড়যন্ত্র ও অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ছাত্র-যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শন্তি-সমাধানের জন্য সেনা-সেটলার প্রত্যাহার, ভূমি অধিকার প্রদান ও জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতিপূর্বক পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানান। এছাড়া সভা থেকে অপহৃত এইচডব্লিউএফ’র দুই নেত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারেরও দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
——————–
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।