বান্দরবানের বিলকিছ বেগম উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষকের কাছে জিম্মি!

0

সিএইচটিনিউজ.কম
বান্দরবান: বান্দরবান জেলা শহরের বালাঘাটা বিলকিছ বেগম উচ্চবিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অস্থায়ী পরিচালনা কমিটি গঠনে প্রধান শিক্ষকের অনীহা ও অসহযোগিতার কারণে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আহ্বায়কের পদে আনার প্রস্তাব করা হয়।

প্রধান শিক্ষক নিজের পছন্দের প্রতিনিধি ছাড়া পরিচালনা কমিটি গঠনে অস্বীকৃতি জানানোয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া বিদ্যালয়টি চলছে। এতে যেকোনো সময় বিদ্যালয়ের পাঠদান অনুমতিও বন্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের ৪৫০ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা করেছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, অস্থায়ী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দ্বিতীয় মেয়াদে অস্থায়ী কমিটি করার জন্য গত বছর ২৩ আগস্ট শিক্ষা বোর্ড থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক একক সিদ্ধান্তে যে কমিটির প্রস্তাব করেন, সেখানে শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিরা সবাই তাঁর পছন্দের প্রতিনিধি। এ জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের আপত্তিতে প্রশাসন প্রধান শিক্ষকের প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের বাইরে প্রতিনিধি বাছাই করে।

মেয়াদোত্তীর্ণ পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মিদোমং মারমা ও ইউছুপ বলেন, আর আগে আবুল কাশেমের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বহু মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিদ্যালয়ে তালা ঝোলানো হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিতও হয়েছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে তাঁর কাছে জিমিঞ্চ হয়ে পড়েছে।
প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম তাঁর মনোনীত প্রতিনিধির বাইরে কমিটি গঠনের ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডে আপত্তি দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যে কমিটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে, তা বিধি অনুযায়ী হয়নি। তাঁর মাধ্যমে কমিটির প্রস্তাব পাঠাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধির নাম না পাওয়ায় তিনি এখনো প্রস্তাব পাঠাতে পারেননি। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, একটি বিশেষ মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

জেলা প্রশাসক ও মেয়াদোত্তীর্ণ অস্থায়ী পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কে এম তারিকুল ইসলাম ইউএনওকে আহ্বায়কের জন্য প্রস্তাবের কথা স্বীকার করে বলেন, বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক নিজের পছন্দের লোক ছাড়া কমিটি গঠনে অনীহা দেখানোয় ইউএনওকে আহ্বায়কের প্রস্তাব ছাড়া কোনো উপায় নেই। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সৌজন্যে: প্রথম আলো

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More