বান্দরবানের লামায় বিজিবি সদস্য কর্তৃক দুই ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ এইচডব্লিউএফ’র

0
7

হিল উইমেন্স ফেডারেশন(এইচডব্লিউএফ)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরূপা চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা আজ ২৪ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে গত বুধবার রাতে বান্দরবানের লামায় বিজিবি’র ত্রিশডেবা ক্যাম্পের তিন সদস্য কর্তৃক দুই ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী ও সেটলার কর্তৃক পাহাড়ি নারী ধর্ষণ, নির্যাতন যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর ২১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে রাঙামাটির বিলাইছড়িতে সেনা জওয়ান কর্তৃক দুই মারমা নারীকে ধর্ষণ-যৌন নির্যাতনের ঘটনার কোন বিচার হয়নি। লে. ফেরদেসৗ কর্তৃক কল্পনা চাকমাকে অপহরণ থেকে শুরু করে এ যাবত সংঘটিত ধর্ষণ-খুনের সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে বলে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।

নেতৃদ্বয় নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি অধিনায়কের বক্তব্যকে কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করে বলেন, তিনি প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত বিজিবি সদস্যদের বাঁচানোর জন্য এই ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র” বলে দাবি করছেন, যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দুই ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের সাথে জড়িত বিজিবি সদস্যদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত সাজা প্রদান ও পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত সংঘটিত সকল ধর্ষণ, অপহরণ ও খুনের বিচার দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট ২০১৮, বুধবার রাত ১০ টায় উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রামগতি নামক ত্রিপুরা পাড়ায় নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র অধীনস্থ লামার বনপুর ত্রিশডেবা বিজিবি ক্যাম্পের তিন সদস্য কর্তৃক দুই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় বলে ভিকটিম ও তাদের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন।
—————-
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.