বান্দরবানে ভূমি জটিলতা দূর করতে হেডম্যানদের ১৬ দফা
সিএইচটিনিউজ.কম
ভূমি অধিগ্রহণ ও মালিকানা হস্তান্তরে মৌজার হেডম্যানের (মৌজাপ্রধান) মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক করাসহ ১৬ দফা দাবি জানিয়েছেন বান্দরবানের বোমাং সার্কেল হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। হেডম্যানের মতামত না নিয়ে একজনের জমি আরেকজনের নামে মালিকানা হস্তান্তর করাতে ভূমি সমস্যা জটিল হয়ে উঠছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেছেন।
গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী ও জেলার ৯৫টি মৌজার হেডম্যানের মতবিনিময় সভায় তাঁরা এ দাবি জানান।
বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাফর আলম, বন বিভাগের দুই বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।
মতবিনিময় সভায় অধিকাংশ হেডম্যান বন বিভাগের সঙ্গে ভূমি বিরোধ, বহিরাগতদের ভূমি দখল, জমি বন্দোবস্তের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। রোয়াংছড়ির নোয়াপতং মৌজার হেডম্যান মিচিং মারমা জানান, তাঁর মৌজায় আড়াই হাজার একর বন বিভাগের অধিভুক্ত ভূমি রয়েছে। কিন্তু সমগ্র মৌজাকে তাঁদের জমির চৌহদ্দি বা সীমানা দেখানো হয়েছে। এতে মৌজাবাসী কেউ জুমচাষ ও বাগান করলে বন বিভাগ বাধা দেয়।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঈদগড় মৌজার হেডম্যান থোয়াইহ্লা মারমা, বান্দরবান সদর উপজেলার দক্ষিণ হাঙ্গর মৌজার পারিং ম্রো অভিযোগ করেন, রাবার বাগানের জন্য বরাদ্দ দেওয়া জমির যে সমস্ত ইজারা বাতিল হয়েছে, সেগুলো বহিরাগত ভূমিদস্যুরা আবার দখল করে নিয়েছে। হাজার হাজার একর খাসজমি বহিরাগতরা দখল করে নেওয়ায় ম্রো জাতিসত্তাদের উচ্ছেদ হচ্ছে। অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার হয় না।
জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী জানান, হেডম্যানরা যেসব দাবি তুলেছেন, তা বিবেচনা করা হবে।
সৌজন্যে: প্রথম আলো
——————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।