Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
বান্দরবান প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
বান্দরবানে সন্তু লারমার অনুগতদের হামলায় গতকাল ১৫ জুন শুক্রবার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের তিন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইউপিডিএফ বান্দরবান ইউনিটের সংগঠক ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থুইক্য চিং মারমা উক্ত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা পিসিপি সমর্থক উমংহ্লা মারমাকে (১৫) রাজভিলায় মারধর করে। তিনি বান্দরবানের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে দশম শ্রেণীর ছাত্র এবং বালাঘাটায় থেকে লেখাপড়া করেন। ঐদিন তিনি নিজ বাড়ি রাজভিলায় গেলে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর তাকে আহত অবস্থায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মী পাইমং মারমা (১৯) ও উটিং মারমা (২০) তাকে দেখতে যান। এ সময় সেখানে অপেক্ষায় থাকা সন্তু লারমার অনুগত ২০ -২৫ জন সন্ত্রাসী তাদের দু‘জনকে ধরে লোকজনের সামনে মারধর করতে করতে ‘মহেন্দ্র‘ গাড়িতে তুলে বান্দরবান শহরের উজানী পাড়ায় নিয়ে যায়।
সেখানে তাদের দু‘জনকে আলাদা করে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। এতে পাইমং চোখে ও উটিং মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। মারধরের পর পাইমংকে সন্ত্রাসীরা অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে জ্ঞান ফিরলে তিনি একটি সিএনজি নিয়ে বালাঘাটায় ফিরে যান। উটিংকে তার আগে সন্ত্রাসীরা মারধরের পর ছেড়ে দেয়। পরে এলাকাবাসী ও পিসিপি সদস্যরা তাদের দু‘জনকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
পাইমং এর ভাষ্য মতে, তিনি হামলাকারীদের কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন। এরা হলো উজানী পাড়া গ্রামের পুলু মং মারমার ছেলে উবাচিং মারমা (২৮), উখিংহলা মারমা, মালুঅং মারমা, মংস্তু মারমা, উসাইনু মারমা, উক্য ওয়াই চাক, দীপায়ন চাকমা, বিকাশ চাকমা, পিন্টু চাকমা ও উসলা মারমা।
ইউপিডিএফ বান্দরবান ইউনিটের সংগঠক ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ও পিসিপির সাধারণ সম্পাদক থুইক্য চিং মারমা এক যৌথ বিবৃতিতে উক্ত হামলার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে হামলাকারী সন্তু লারমার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, সন্তু লারমা আন্দোলনের পথ ভুলে এখন সুবিধাবাদীতার নর্দমায় পড়ে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছেন এবং ডুবন্ত মানুষ যেমন খড়কুটো ধরে হলেও রক্ষা পেতে চায় তেমনি সন্তু লারমাও সন্ত্রাসকে আশ্রয় করে রাজনীতিতে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
‘কিন্তু সন্ত্রাসের যে আগুন তিনি জ্বালিয়েছেন সেই আগুনেই তিনি পুড়ে গিয়ে ছারখার হয়ে যাবেন‘ বলে তারা মন্তব্য করেন।