বিদেশী নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় ৮ সংগঠনের উদ্বেগ প্রকাশ

0

সিএইচটিনিউজ.কম
পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনরত ৮ গণসংগঠন (গণতান্ত্রকি যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরষিদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি, সাজেক নারী সমাজ, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড) আজ শনিবার ৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদপত্রে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরে বিদেশী নাগরকিদদের ওপর সরকার কড়াকড়ি আরোপ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং একে ফ্যাসীবাদী শাসন কায়েমের প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে।

Bibrityযৌথ বিবৃতিতে ৮সংগঠনের নেতৃবন্দ বলেন, দেশের অন্যত্র বিদেশী নাগরকিদের কারোর ব্যাপারে স্বাভাবিক চলাফরোয় বিধি নিষেধ না থাকলওে পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরের বেলায় কড়াকড়ি নিষেধোজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে এই অঞ্চলটির প্রতি রাষ্ট্রীয় বৈরী নীতি জারি রাখার বিষয়টি আবারও প্রমাণতি হলো। বিদেশীদের নামে কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও বুঝতে বাকী থাকে না যে এর মূল টার্গেট হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ পাহাড়ি জনগণ। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আবার আশি দশকের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির আবর্তে নিক্ষিপ্ত হতে চলেছে। পাহাড়ি জনগণের চলাফরোয় আরও কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ জোরদার হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিবৃতিতে ৮সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আরও বলনে, পার্বত্য চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম সামরকিায়তন অঞ্চল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাত্তোর কাল থেকে এখানে ডজনের অধিক গণহত্যা সেনা-সেটলাররা সংঘটিত করেছে এবং এখনো তাদের বিচার ও শাস্তি হয় নি। পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহতভাবে দমন-পীড়ন ও ভূমি থেেক উচ্ছেদ অভিযান চলছে, সে অবস্থায় বিদেশীদের সফরে নিয়ন্ত্রণের নাম করে আসলে সরকার দেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করতে উদ্ধ্যত হয়েছে, যার আলামত ইতিমধ্যেই উন্মোচিত হয়ে পড়েছে। ক্ষমতাসীন সরকার যদি পার্বত্য চট্টগ্রামে এ নিয়ন্ত্রণ আরোপে সফল হয়, তাহলে পরবর্তী টার্গেট হবে দেশের উদারনৈতিক মুক্তমনা ব্যক্তিবর্গ, গণতান্ত্রিক দল-সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সরকার এদের টুটি চেপে ধরবে, দেশে ফ্যাসীবাদী শাসন কায়েমের পথে এসব নিয়ন্ত্রণ ও বিধিনিষিধ  হচ্ছে প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ মাত্র, যা দেশের সচতেন নাগরিকদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না।

৮ সংগঠনের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করনে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের(ডিওয়াইএফ) সভাপতি মাইকলে চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সভাপতি থুইক্যচিং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরুপা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কাজলী ত্রিপুরা এবং প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।

আট গণসংগঠনের কনভেনিং কমিটির সদস্য সচিব অংগ্য মারমার স্বাক্ষরে এ বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে।
——————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More