বৈসাবি শোভাযাত্রায় সেনা-পুলিশী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খাগড়াছড়ির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের

0

সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি: বৈসাবি শোভাযাত্রায় সেনা-পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।Bibrity Boisabi

রবিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আজ ১২ এপ্রিল ২০১৫ পাহাড়ের সর্ব বৃহৎ সামাজিক উৎসব সর্বজনীন বৈসাবি (বৈসু-সাংগ্রাই-বিঝু) উৎসব আনুষ্ঠানিক সুচনার দিন। এই উৎসবকে ঘিরে পাহাড়ে বসবাসরত জাতি গোষ্ঠির মধ্যে ‘‘সম্প্রীতি,  ভ্রাতৃত্ববোধ ও জাতীয় ঐক্য” এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন  কমিটি  ২০১৫ খাগড়াছড়ি গঠন করা হয় এবং বৈসাবি ২০১৫ উৎসবকে আনন্দঘন ও উৎসব মূখর করার লক্ষে ৫দিন (১২ এপ্রিল – ১৬এপ্রিল) ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ সকালে বৈসাবি শোভাযাত্রা আরম্ভের প্রাক্কালে শোভাযাত্রায় আগত নিরীহ জনগণের উপর বিনা উসকানিতে নির্বিচারে সেনা-পুলিশ হামলা চালায়। এই হামলা বর্বরোচিত এবং ন্যাক্কারজনক। যা বর্তমান সভ্য সময়ে কারো কাম্য নয়।

বিবৃতিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আরো বলেন, এই হামলা শুধুমাত্র খাগড়াছড়ি বৈসাবির শোভাযাত্রায় হামলা নয়, এটা পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠির প্রাণের অনুভূতিতে হামলার সামিল এবং আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার সরকারী নীলনক্্শার অংশ বিশেষ। আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করছি। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার নিশ্চয়তা দাবি করছি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অনন্ত বিহারী খীসা, সাবেক অধ্যক্ষ সুধীন কুমার চাকমা, সহযোগী অধ্যাপক(অব:) মধু মঙ্গল চাকমা, অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য বিনোদ বিহারী চাকমা, খাগড়াছড়ি আদিবাসী সম্প্রীতি মঞ্চের সম্পাদক রবি শংকর তালুকদার, বিশিষ্ট মুরুব্বী সরোজ কুমার চাকমা, খবংপুড়িয়া সমাজ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি পুরুষোত্তম চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রণিক ত্রিপুরা, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি অগ্রজ্যোতি স্থবির, শরণার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা, খাগড়াছড়ি সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি কিরণ মারমা।
————————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More