ঢাকা : মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ ১ মে ২০১৮, মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও প্রবাসী শ্রমজীবী ফ্রন্ট।
“পাহাড় আর সমতলে, লড়াই হবে সমানতালে” এই শ্লোগানে এবং “শোষক-নিপীড়কের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, দুনিয়ার মেহনতি জনতা ও নিপীড়িত জাতি এক হোন” এই আহ্বানে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর সংগঠক মাইকেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অনিল চাকমা, প্রবাসী শ্রমজীবী ফ্রন্ট আদমজী শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তি বাবু চাকমা।
এ সময় ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা-সেটলার প্রত্যাহার কর’; ‘মন্টি-দয়াসোনাকে অপহরণকারীদের গ্রেফতার কর’; ‘৮ ঘন্টা শ্রম ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত কর’; ‘বেতনভাতাসহ নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত কর’ ইত্যাদি দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের শিল্প কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কোন নিরাপত্তা নেই। আজ পর্যন্ত আগুনে পুড়ে, ভবন ধসে হাজার হাজার শ্রমিক নিহত হয়েছে। তাজরিন, টাম্পাকো ও রানাপ্লাজাসহ হাজার হাজার শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ি বড়লোক কারখানা মালিকদের এখনো শাস্তি হয়নি। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা খরচসহ নিহত শ্রমিকদের পরিবারকেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে শিল্পাঞ্চলসহ বিভিন্ন অফিসে কর্মরত জাতিসত্তার শ্রমিক-কর্মচারীরা নানা ধরণের বৈষম্যের পাশাপাশি জাতিগত নিগ্রহেরও শিকার হতে হচ্ছে উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর চট্টগ্রামের কয়েকটি শিল্পকারখানা ও আদমজী শিল্পাঞ্চল এবং রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বাঙালি ভিন্ন অন্য জাতিসত্তার শ্রমিক-কর্মচারীরা জাতিগত নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। কয়েকটি স্থানে মারধরসহ নারীদের ওপর যৌন নিগ্রহের ঘটনাও ঘটেছে। তখন শতশত শ্রমিক-কর্মচারী স্ব স্ব এলাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। এসব ঘটনার পর সারাদেশে জাতিসত্তার শ্রমিক-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বক্তারা মেহনতি জনতার রক্তচোষা শোষক-নিপীড়কদের বিরুদ্ধে পাহাড় ও সমতলে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পল্টন মোড়, তোপখানা রোড প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
——————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।