
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ।। খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে মারমা কিশোরী ধর্ষণ ঘটনায় পুলিশ দুই অভিযুক্তকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।
গত ৩১ আগস্ট রাতে আল আমিনসহ চার সেটলার যুবক মিলে ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর গতকাল সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভিকটিম কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে আল আমিন (২৭) এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করে মহালছড়ি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড কদম রসুল এলাকা থেকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আল আমিনকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মহালছড়ি থানা এলাকা থেকে আব্দুল কাদের (২৮) নামে আরেক অভিযুককে আটক করা হয় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, ১ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর পরই মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল এক সালিশ বৈঠক করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে অভিযুক্তদের রেহায় দেন এবং মামলা না করার জন্য কিশোরীর পরিবারকে নির্দেশ প্রদান করেন।
চেয়ারম্যানের এ সালিশের খবরটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ফলাওভাবে প্রকাশ হয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে।
এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে কিশোরীর পরিবারকে সহযোগিতা না করলেও পরে মূল ধর্ষণের ঘটনা পাশ কাটিয়ে ‘ধর্ষণ চেষ্টা’র অভিযোগে মামলা গ্রহণ করে এবং অভিযুক্তদের আটকের অভিযান চালাচ্ছে।