খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার লেমুছড়িতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সেটলার বাঙালিরা সুনীল কান্তি চাকমা, পিতা-মৃত. চন্দ্র কুমার চাকমার রেকর্ডিয় ৩একর সহ মোট ৮ একর এবং রূপন তালুকদার(৪৩) পিতা-জ্ঞানলাল তালুকদারের ৩একর জায়গা বেদখল করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ৫ ডিসেম্বর ২০১০, রবিবার সকাল ৯-১০টা থেকে ১০০/১৫০ জন সেটলার বাঙালি গিয়ে এ বেদখল কার্যক্রম শূরু করে। বিকাল ৫:৩০ টা পর্যন্ত সেটলাররা ৫/৬টি ঘর তৈরি করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মহালছড়ি জোন ও কেঙেলছড়ি সাবজোন থেকে সেনারা উপস্থিত থেকে সেটলারদের সহযোগিতা করছে বলে স্থানীয় পাহাড়িরা অভিযোগ করেছেন। সেটলারদের মধ্যে থেকে দুই জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন লেমুছড়ি গ্রামের মো: ওসমান, পিতা-রফাতউল শেখ ও মো: আবদুর রশিদ, পিতা-বশর ভূঁইয়া।
উল্লেখ্য যে, দেশে জরুরী অবস্থার সময়ও রূপন তালুকদারের প্রায় ৩ একর জায়গা সেটলারা বেদখল করে। বাকী ৩ একর জায়গাও মাস খানেক আগে সেটলাররা দখল করতে চাইলে তিনি একটি মামলা দায়ের করেন। ফলে সে সময় সেটলাররা তার জায়গা বেদখল করতে পারেনি। আজ আবারো সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সেটলাররা উক্ত ৩ একর জায়গা বেদখল করে বাড়ি নির্মাণ করছে।
এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সোনারতন চাকমার মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন যে, এখানে সেনাবাহিনী সরাসরি জড়িত রয়েছে। কাজেই তার করার মতো কোন অবস্থা নেই।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে সন্ধ্যার সময় আবারো ১৫০/২০০ জনের মতো সেটলার বাঙালি জড়ো হয়ে বাড়ি নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করছে। ফলে পাহাড়িদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পেয়ে পাহাড়িরা জায়গা বেদখল হওয়ার আশঙ্কা করছেন এবং এ জায়গা বেদখলকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।