মানিকছড়িতে এক শিক্ষককে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ

0

মানিকছড়ি প্রতিনিধি ।। খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার মম্প্রুতলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক থোয়াইচিং মং মারমাকে রাতের আঁধারে একদল সেনা সদস্য কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৩ আগস্ট ২০২১) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষকের বাড়ি মানিকছড়ির ভোলাছোলা গ্রামে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘গত ৩ আগস্ট রাত ১১টার সময় তিনটহরি শিবির এলাকার মো. কালাম ওরফে কালা, পিতা-রেনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি আমার বাড়িতে এসে আমাকে আমার স্কুলের মাঠে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর ‘তুমি এখানে থাকো, আমি এখনি আসছি’ বলে সে সেখান থেকে চলে যায়। আমি তার অপেক্ষায় থাকার কিছুক্ষণ পর দেখি লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোন ও বান্যাছোল ক্যাম্প থেকে একদল সেনা সদস্য এসে অতর্কিতে আমাকে মারধর করতে থাকে এবং আমার কাছ থেকে ‌‘অস্ত্র’ খুঁজতে থাকে।

এ সময় আমি তাদেরকে বলি যে, আমি একজন শিক্ষক, আমার কাছে অস্ত্র থাকবে কোথায়? আমরাতো মানুষ গড়ার কারিগর। আমাদের কাজ কলম দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে আমাদের কাজ নয়। তারপরও সেনা সদস্যরা আমাকে বেদম মারধর করে। তারা আমার পায়ের তালুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে। তারা লোহার প্লাস দিয়ে হাতের আঙ্গুলে চেপে ধরে জখম করে দেয়’।

আজ ৪ জুলাই, বুধবার সকালে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ডা. আলাউদ্দিনের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে চিকিৎসা বাবদ তার প্রায় ৩ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে বলে শিক্ষক থোয়াইচিং মং মারমা জানান।

তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা শিক্ষকরা যদি এভাবে সেনাবাহিনীর কাছে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হই, তাহলে আমরা শিক্ষক সমাজ কোথায় যাবো?

তিনি অভাব-অনটনের মধ্যে রয়েছেন জানিয়ে বলেন, গত ২ ও ৩ জুলাই তিনি অন্যের জমিতে দৈনিক ৫শত টাকা মজুরিতে কাজ করেছেন। ৩ জুলাই কাজ শেষে রাতে বাড়িতে ঘুমানোর সময় কালাম ওরফে কালা তাকে ডেকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতন করিয়েছে বলে তার অভিযোগ।

তিনি সরকারের কাছে উক্ত নির্যাতনের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More