মানিকছড়ি : খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ মংশে মারমা’র ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ ৩ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার সকাল ৬টায় শহীদের মংশে মারমা’র স্মরণে নির্মিত স্মতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এতে ডেবিট চাকমা’র সঞ্চলনায় ইউপিডিএফ-এর মানিকছড়ি ইউনিটের সংগঠক সুদীপ্ত ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম-এর জেলা প্রতিনিধি ক্যামরন চাকমা, পিসিপি’র জেলা অর্থ সম্পাদক নরেশ ত্রিপুরা, শহীদ পরিবারের পক্ষে মংশে মারমার বড় ভাই চরেম্রা মারমা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে মংশে মারমাসহ সকল শহীদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক সুদীপ্ত ত্রিপুরা ও পিসিপি’র জেলা অর্থ সম্পাদক নরেশ ত্রিপুরা।
বক্তরা বলেন, মংশে মারমা মানিকছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন। মানিকছড়ি এলাকায় ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। যার কারণে শাসকগোষ্ঠী তাকে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে খুন করেছে।
তারা আরো বলেন, জাতির অস্তিত্ব রক্ষা ও ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মংশে মারমার যে আত্মবলিদান তা কখনো বৃথা যাবে না। তার প্রতিবাদী চেতনাকে ধারণ করেই অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামকে বেগবান করতে নতুন প্রজন্ম তথা ছাত্র-যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, শহীদ মংশে মারমা মানিকছড়ি থানা শাখার তৎকালীন সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ৩ ডিসেম্বর সাংগঠনিক কাজে গেলে কালাপানি এলাকা থেকে জনসংহতি সমিতির মদদপুষ্ট দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণের পর নির্মমভাবে খুন করে।
————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।