চট্টগ্রাম : খাগড়াছড়িতে সেনাসৃষ্ট নব্য মুখোশবাহিনী সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হওয়া ইউপিডিএফ-এর অন্যতম সংগঠক শহীদ মিঠুন চাকমা’র স্মরণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে স্মরণসভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ই জানুয়ারি ২০১৮) বিকেল ৪.৩০টায় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন যৌথভাবে এ কর্মসূচি আয়োজন করে।
ছাত্র নেতা অংকন চাকমার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নগর শাখার সভাপতি থুইক্যচিং মার্মা, পিসিপি চবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রুপন চাকমা। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাসদ চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক অপু দাশ গুপ্ত, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি,জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের নেতা এসিংমং মার্মা। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, পিসিপি নগর শাখার সভাপতি পলাশ চাকমা, সাধারণ সম্পাদক জিকো চাকমা, চবি শাখার সভাপতি সুনয়ন চাকমা, সহ-সভাপতি রিংকু চাকমা, হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী রিতা চাকমা, যুব ফোরাম নগর শাখার সহ-সভাপতি শুভ চাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল চাকমা, সাধারণ সম্পাদক সুকৃতি চাকমা ও চট্টগ্রাম মহানগরের ইউপিডিএফ’র সংগঠক জিকো মার্মা প্রমুখ।
অপু দাশ গুপ্ত বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশাসন মিঠুন চাকমার হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন পরেও হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি। উল্টো তার দাহক্রিয়া ও স্মরণসভায় বাধা দিয়ে প্রশাসন হত্যাকারীদের পক্ষাবলম্বন করেছে।
এসিংমং মার্মা বলেন, পাকিস্তানী সেনারা যেমন বাঙালি মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে পূর্ব বাংলার জনগণের মুক্তির সংগ্রামকে দমাতে পারেনি, ঠিক তেমনি এদেশের শাসক শ্রেণীও মিঠুন চাকমার মত মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে পাহাড়ের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না।
হাসান মারুফ রুমি বলেন, বাংলাদেশের সমতলে বেসামরিক শাসন চললেও পাহাড়ে চলছে সামরিক শাসন। যুদ্ধাপরাধীর বিচার তখনই ন্যায়সঙ্গত হবে যখন পাহাড় এবং সমতলে সকল খুন-গুমের বিচার হবে। তিনি মিঠুন চাকমার হত্যাকান্ডসহ সকল খুন-গুমের বিচারের দাবি জানান।
স্মরণসভায় বক্তব্য চলাকালে মিঠুন চাকমার স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি একটি মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে খাগড়াছড়ি শহরের অপর্ণা চৌধুরী পাড়ার নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বাড়ির গেট থেকে নব্য মুখোশ বাহিনীর একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মিঠুন চাকমাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে কিছুদূর নিয়ে গিয়ে মাথায় ও পেটে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।