চট্টগ্রাম : জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রামের নেতা ইউপিডিএফ সংগঠক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সংগঠক মিঠুন চাকমাকে হত্যার বিচার দাবিতে গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের পূর্ব-৩(চট্টগ্রাম-পার্বত্র চট্টগ্রাম)-এর উদ্যোগে শুক্রবার ৪টায় নগরীর জামালখান চেরাগীর মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল পূর্ব-৩ সদস্য সচিব আমীর আব্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফ নেতা শুভ চাক, কথা সাহিত্যিক আহমদ জসিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ নেতা আল কাদেরী জয়, বাসদ (মার্ক্সবাদী) নেতা আরিফ মহিউদ্দীন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম শাখার সম্পাদক সুকৃতি চাকমা, জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের নেতা এচিং মং, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের চট্টগ্রাম নগর সভাপতি লোকেন দে। সমাবেশ পরিচালনা করেন, মুক্তি কাউন্সিল চট্টগ্রাম জেলা সদস্য সচিব সামিউল আলম রিচি।
সমাবেশে বক্তারা ইউপিডিএফ সংগঠক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নেতা মিঠুন চাকমাকে গুলি করে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
বক্তারা আরো বলেন, মিঠুন চাকমা একজন বলিষ্ঠ সংগঠক হিসেবে সেই ছাত্র অবস্থা থেকে পাহাড়ের জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রামের কাজ করছেন। পাহাড়ে সেনাশাসনের অবসান এবং পাহাড়ি জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ক্ষেত্রে মিঠুন চাকমা একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। পাহাড় ও সমতলে লড়াই হবে সমান তালে এই নীতিতে লড়াই চালিয়ে যাওয়া মিঠুন বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির লড়াইয়ের সংগঠন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের একজন সক্রিয় সহযোদ্ধা ছিলেন। জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ গঠনে মিঠুন চাকমার ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের এই অন্যতম সহযোদ্ধাকে হত্যার মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের গণতান্ত্রিক লড়াইকে স্তব্ধ করে দেয়ার এই ঘৃণ্য নৃশংসতার প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে সব গণতন্ত্রকামী মানুষকে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও তাদের মদদদাতাদের জানিয়ে দিতে হবে হত্যা করে, জুলুম করে জনগণের লড়াই দমন করা যাবেনা!
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কমরেড মিঠুন চাকমার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন। সমাবেশে শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
——————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।