খাগড়াছড়ি : “ইউপিডিএফ-এর অন্যতম সংগঠক মিঠুন চাকমাকে হত্যার ঘটনায় রাষ্ট্র জড়িত। এটা পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকা- ও ক্রসফায়ারের নতুন সংস্করণ। রাষ্ট্রীয় নীলনক্সা অনুযায়ী নব্য মুখোশ বাহিনীর দুর্বৃত্তদের দিয়ে দিন দুপুরে জনসম্মুখে মিঠুন চাকমাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে”।
আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি ২০১৮) বিকাল ৩টায় খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভরস্থ উম্মুক্ত মাঠে ইউপিডিএফ’র আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।
সমাবেশ থেকে আগামীকাল শনিবার (৬ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ-এর খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক মাইকেল চাকমা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এমএম পারভেজ লেনিন ও আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সংগঠক তিতাস চাকমা।
শান্তিপূর্ণ শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে সেনা-পুলিশ প্রশাসনের বাধা ও রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনায় মিঠুন চাকমাকে খুন করার প্রতিবাদে সমাবেশ থেকে ইউপিডিএফ’র খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক মাইকেল চাকমা আগামীকাল শনিবার (৬ জানুয়ারি ২০১৮) খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
অবরোধ কর্মসূচি শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে বলে তিনি জানান।
আগামীকালের অবরোধ সফল করতে ইউপিডিএফ-এর পক্ষ থেকে জেলার সকল যানবাহন মালিক সমিতি, শ্রমিক সংগঠন ও সর্বস্তরের জনসাধারণে প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ সকালে খাগড়াছড়ির স্বনির্ভরস্থ পার্টি অফিসে মিঠুন চাকমার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের সিদ্ধান্ত নেয় ইউপিডিএফ। কিন্তু মিঠুন চাকমার মরদেহ পার্টি অফিসে আনতে বাধা প্রদান করে প্রশাসন। শোকার্ত মানুষদের বিরুদ্ধে রণ প্রস্তুতি নেয় পুলিশ। শুধু তাই নয়, মিঠুন চাকমার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে খাগড়াছড়ি জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ আসতে থাকলে সেনা-পুলিশ পথিমধ্যে নানা পন্থায় হয়রানি ও বাধাগ্রস্থ করে। শ্রদ্ধা নিবেদনস্থল স্বনির্ভর খাগড়াছড়িতে আসতে দেয়নি। জেলার বিভিন্নস্থানে অস্থায়ী সেনা চেক পোস্ট বসিয়ে স্বনির্ভর অভিমূখি গাড়িগুলো ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
প্রশাসনের এমন অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়।
—————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।