চট্টগ্রাম : রাঙামাটির নানিয়াচরে পিসিপি নেতা ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমাকে সেনা হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারী মেজর তানভীরসহ জড়িত সেনাদের শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।
শনিবার (২২ এপ্রল) বিকেল ৩ টায় নগরীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব ঘুরে চেরাগী মোড়ে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
পিসিপি নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জিকো চাকমার সভাপতিত্বে পিসিপির চবি শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক সুনীল চাকমার সঞ্চালনায় মিছিল পরবর্তী অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির চবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রূপন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নগর শাখার সহ-সভাপতি শুভ চাক, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী রিতা চাকমা।
এছাড়াও সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নগর শাখার সভাপতি মোঃ শওকত আলী, চবি শাখার সভাপতি কামরুল হাসান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নগর শাখার সহ-সভাপতি মুক্তা ভট্টাচার্য্য ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নগর শাখার সভাপতি লোকেন দে প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে শওকত আলী বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতি সংঘ মিশনে শান্তি রক্ষি বাহিনী পরিণত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। রমেল চাকমার হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সেনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কলঙ্কিত করেছে।”
মুক্তা ভট্টাচার্য্য রমেলের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে হত্যাকারী মেজর তানভীরসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবি করেন।
রমেল চাকমার হত্যাকাণ্ড সকল প্রগতিশীল শক্তির জন্য অশনি সংকেত উল্লেখ করে লোকেন দে বলেন, সেনাবাহিনী শুধু রমেল চাকমাকে হত্যাকরে ক্ষান্ত হয়নি লাশকে নিয়েও তালবাহানা করেছে। তনু ও রমেলের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় আতঙ্ক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
কামরুল হাসান বলেন, সেনাবাহিনী সন্ত্রাস বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। রমেল চাকমার হত্যাকা- ৭১’র পাকিস্তানী বাহিনীকেও হার মানিয়েছে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে লাশ ছিনিয়ে নিয়ে সামাজিক রীতিনীতি তোয়াক্কা না করে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের অনুপস্থিতিতে পেট্টোল দিয়ে রমেলের লাশ পুড়িয়ে ফেলেছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা বিচার বিভাগীয় তদন্ত পূর্বক রমেল চাকমার খুনি মেজর তানভীর ও তাঁর সহযোগীদের ফাঁসিসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পাহাড় থেকে সেনা শাসন প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
———————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।