রাঙামাটিতে সমাবেশে অংশ নেওয়া নূজিয়া হাসিন রাশা, অলিউর সান ও মার্জিয়া প্রভার ওপর হামলার প্রতিবাদ বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর

0


ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

রাঙামাটির কাউখালিতে আজ (১২ জুন ২০২৫) কল্পনা চাকমার অপহরণকারীদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সমাবেশ শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট সেটলাররা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা, ইউল্যাবের শিক্ষক অলিউর সান এবং গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মার্জিয়া প্রভার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। শারীরিক আক্রমণের পাশাপাশি হামলাকারীরা আক্রন্তদের সেনাক্যাম্পে তুলে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি প্রদান করে। বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী এই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবি জানিয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায় এবং সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেছেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মদদে বিভিন্ন সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের ওপর যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে তারই ধারাবাহিকতায় আজ কাউখালিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা এবং আক্রমণের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের রাজনৈতিক অধিকারের পক্ষে এবং কমরেড কল্পনা চাকমার গুমের বিচারের দাবিতে সোচ্চার রাজনৈতিক কর্মীদের কণ্ঠ বন্ধ করা যাবে না।”

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “সমাবেশে অংশ নিতে আসা ‘আদিবাসী’ নারীদের যেসব গাড়িতে করে আনা হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে অন্তত ৮টি গাড়ির বাঙালি ড্রাইভারদের সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সমাবেশে আসা নেতৃবৃন্দের ওপর সরাসরি হামলা চালানো হয়—যা এই নির্যাতনের পূর্বপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চরিত্রকে স্পষ্ট করে তোলে। এই হামলা স্পষ্ট নাগরিক নিরাপত্তা এবং কল্পনা চাকমার গুমের বিচারের দাবিতে দীর্ঘ লড়াইয়ের উপর আক্রমণ, স্বাধীন মতপ্রকাশের উপর আক্রমণ। আমরা অনতিবিলম্বে উক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাই। একইসাথে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই কমরেড কল্পনা চাকমা অপহরণের সাথে জড়িত সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।”



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More