রাঙামাটিতে সেনাসদস্য কর্তৃক মারমা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় এইচডব্লিউএফের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

0

রাঙামাটি : রাঙামাটির বিলাইছড়িতে সেনা সদস্য কর্তৃক এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন(এইচডব্লিউএফ) রাঙামাটি জেলা শাখা। আজ ২৩ জানুয়ারি সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত যৌথ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংগঠনটির রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি কুহেলী চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক দয়াসোনা চাকমা এ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় উদ্বেগ প্রকাশ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নারীদের উপর যৌন সহিংসতা, ধর্ষণ, খুন ও গুমের ঘটনা মহামারী আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে এ অপরাধ কার্যক্রমগুলো আরো বেশি লাগামহীনভাবে সংঘটিত হচ্ছে।

নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের নিরাপত্তার নামে নিয়োজিত সেনাবাহিনী কোন ইস্যু ছাড়াই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সময়ে অসময়ে রাতে-বিরাতে পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে তল্লাসির নামে সাধারণ জনগণকে হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, নারী ধর্ষণ, খুন গুম এর মত ন্যাক্কারজনক অপরাধ কার্যক্রম করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এযাবতকাল সংঘটিত প্রতিটি সহিংস ঘটনার সাথে সেনাবাহিনী কোন না কোনভাবে জড়িত থাকে। সেনাবাহিনীর হেফাজতে নান্যচর কলেজের ছাত্র রমেল চাকমার শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু, সেনাসৃষ্ট “নব্য মূখোশবাহিনী” বর্মা-তরুদের দিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য অনাদি রঞ্জন চাকমা, বন্দুকভাঙা ইউপিডিএফ সংগঠক অনল বিকাশ চাকমা, খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র অন্যতম সংগঠক মিঠুন চাকমাকে গুলি করে হত্যা এবং সর্বশেষ বিলাইছড়িতে সেনাসদস্য কর্তৃক মারমা কিশোরী ধর্ষণ এর ঘটনায় স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনাবাহিনী কতটুকু অপরাধ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সেনাসদস্য কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত অপরাধসমূহের কোন সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় অপরাধীরা বারে বারে পার পেয়ে যাচ্ছে। অন্যদিক সরকার দোষী সেনাসদস্যদের বিচারের আওতায় না এনে এবং শাস্তি প্রদান না করে তাদের দ্বারা সংঘটিত সকল অপরাধ কার্য্যক্রমকে সমর্থন দিচ্ছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল অপরাধের জন্য মূলত সরকারই দায়ী রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

নেতৃদ্বয় অনতিবিলম্বে দোষী সেনাসদস্যদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং ধর্ষণের শিকার মারমা কিশোরীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

উল্লেখ্য,  গত রবিবার দিবাগত রাত ১:৩০টার সময় ফারুয়া সেনা ক্যাম্পের একদল সেনা সদস্য রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের অরাছড়ি গ্রামে যায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশির নামে দুই সেনা সদস্য ওই মারমা কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তার বাবা-মাকে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়ে তাকে (কিশোরীকে) জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

———————-

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More