রাঙামাটি : রাঙামাটির জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়ার অরাছড়ি গ্রামে সেনাবাহিনী কর্তৃক পাহাড়ি দুই বোনকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নকারী সেনা সদস্যদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে মানববন্ধন করেছে ইউপিডিএফভুক্ত তিন নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি ২০১৮) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী এ প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচি চলে। এসময় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজলী ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দয়াসোনা চাকমা ও ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শান্তি প্রভা চাকমা।
বক্তারা বলেন, বিলাইছড়ির পাহাড়ি দুই বোনকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিশেষ একটি গোষ্ঠী তৎপর হয়ে উঠেছে। অতীতের মতো অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের রক্ষা করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সচেতন মানুষ তা কখনো মেনে নেবে না বলে মানববন্ধন থেকে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
দেশের সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে যা করছে তা তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকেও হার মানায় উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে এক আতঙ্কের নাম। তাদের কাছে নারী পুরুষ কেউ নিরাপদ নয়। তথাকথিত শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়নের বাহারি স্লোগান তুলে তারা পুরুষদের অস্ত্র গুঁজে দিয়ে সন্ত্রাসী বানায় এবং জেলে নিক্ষেপ করে অন্যদিকে নারীদেরকে ধর্ষণ করে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতালে।
বক্তারা অবিলম্বে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের সাথে জড়িত সেনা সদস্যদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১:৩০টার দিকে বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ফারুয়া সেনা ক্যাম্প থেকে ওয়ারেন্ট অফিসার মিজান এর নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী এলাকায় সন্ত্রাসী খোঁজার নামে দুর্গম অরাছড়ি গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় সেনারা তল্লাসীর নামে ভিকটিমদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর একই পরিবারের বড় বোনকে (১৮) ধর্ষণ ও ছোট বোনকে (১৩) যৌন নিপীড়ন চালায়।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।