রামগড়ে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

0

রামগড় প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের রাজারঘাট (তালতলী) এলাকায় সেটলার বাঙালি কর্তৃক পাহাড়ি নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট ২০২৪) রাতে ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রামগড় থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে ও বাদীকে মামলার রিসিভ কপি দিতে অনেক গড়িমসি করেছে। পরে অনেকটা চাপের মুখে থানার ওসি মামলা নিতে বাধ্য হন।

মামলার আসামিরা হলেন- ১. মো. ইউসুফ (২৭), পিতা-ইসমাইল হোসেন, ২. মো. রানা (২৪), পিতা- মীর হোসেন ও ৩। মো. ফয়সাল (২৫), পিতা- দুলাল মিয়া, সর্ব সাং- নাকাপা ৩নং ওয়ার্ড ২নং পাতাছড়া ইউপি, থানা- রামগড়, জেলা- খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, “গত ২২ আগস্ট ২০২৪ রাত অনুমানিক ১০.০০ টার সময় আমার মেয়ে ঘরের উঠানে বসে মোবাইলে কথা বলছিল। তখন ০৬/০৭ জন বাঙালি লোক আমার বাড়ির দিকে আসতে দেখে আমার মেয়ে ভয়ে ঘরে ঢুকে বিষয়টি আমাকে জানায়। তখন আমি ও আমার মেয়ে একসাথে ঘর থেকে বাহির হলে উপরোক্ত ১নং বিবাদী মো. ইউসুফ, ২নং বিবাদী মো. রানা ও ৩নং বিবাদী মো. ফয়সাল সহ অজ্ঞাতানামা ৩/৪ জন বিবাদী আমাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্বক আমাদেরকে টেনে হেচঁড়ে ঐ দিন রাত অনুমান ১১.১৫ ঘটিকার সময় পার্শ্ববর্তী ১নং বিবাদী মো. ইউসুফের কলাবাগানে নিয়ে যায়। কলাবাগানে যাওয়ার পর আমার মেয়ে বিবাদীদের নিকট হতে ছুটে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ২নং বিবাদী মো. রানা ও ৩নং বিবাদী মো. ফয়সাল দুইপাশ হতে আমার দুই হাত ধরে রাখে এবং ১নং বিবাদী মো. ইউসুফ অপরাপর বিবাদীদের সহযোগীতায় আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বাঙ্গালী লোক আমার মেয়েকে বাগানের মধ্যে খোঁজাখুজি করতে থাকে। আমার মেয়ে বিবাদীদের হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে ডাক চিৎকার করে স্থানীয় লোকজন জড়ো করলে, স্থানীয় লোকজন আমার মেয়ের কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনার পর কলা বাগানের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে বিবাদীগণ দূর থেকে দেখতে পেয়ে আমাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। অতঃপর স্থানীয় লোকজন আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আমার বাড়িতে নিয়ে আসে।

এজাহারে ভুক্তভোগী নারী উক্ত ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।

এদিকে, মামলা গ্রহণের পর পুলিশ মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভূক্তভোগী নারীকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ (শনিবার) বেলা আড়াইটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামীদের কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More