খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি উপজেলা ও মহালছড়ির সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের ১৬৯ জন হেডম্যান, কার্বারী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এক যৌথ বিবৃতিতে রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ২৩৭ নং নাভাঙা মৌজায় পিলাভাঙা গ্রামে পূর্ণ চন্দ্র চাকমার ১০ একর জমি বেদখল ও বহিরাগত সেটলার পুনর্বাসন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ২১ জন হেডম্যান, ১১২ জন কার্বারী, ২ জন চেয়ারম্যান ও ৩৪ জন মেম্বার রয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ জুন ২০১২ থেকে উক্ত জমিতে কড়া প্রহরায় বহিরাগতদের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। জমির মালিকসহ কোন পাহাড়িকে সেদিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, একটি বিশেষ মহল উক্ত জমি পূর্ণ চন্দ্র চাকমার কাছ থেকে কেনা হয়েছে বলে প্রচার চালাচ্ছে, যা আদৌ ঠিক নয়। পূর্ণ চন্দ্র চাকমা গত ২ জুন তার জমি পুনরুদ্ধারের দাবিতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। যে জমি বেদখল করা হয়েছে সেখানে তার এক সময় বসতবাড়ি ছিল। ১৯৮০-র দশকে উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রাণের ভয়ে তিনি উক্ত ভিটেবাড়ি ছেড়ে পশ্চিম পিলাভাঙায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে পূর্ণচন্দ্র চাকমার রেকর্ডিয় ও ভোগদখলীয় জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, পিলাভাঙা গ্রামে বেআইনী সেটলার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া বন্ধ ও বিজিবি ক্যাম্প সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন, রামগড় উপজেলার ২২৯ নং রামগড় মৌজার হেডম্যান উষাপ্রু চৌধুরী, ২৩৭ নং নাভাঙ্গা মৌজার হেডম্যান সাচিং চৌধুরী, ২৩৬ নং পরশুরাম ঘাট মৌজার হেডম্যান আশুতোষ রোয়াজা, ২৩৫ নং নাকাপা মৌজার হেডম্যান আপুসু চৌধুরী, ২০৯ নং বড় পিলাক মৌজার হেডম্যান মংশে চৌধুরী, ২১৩ নং লুব্রেমরম মৌজার হেডম্যান লাব্রেচাই চৌধুরী, ২২৫ নং তৈকর্মা মৌজার হেডম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী, ২০২ নং হাজাছড়া মৌজার হেডম্যান হরি দোয়াল চাকমা, ২৩৩ নং তেমরম মৌজার হেডম্যান ধনমনি চাকমা, ২২৭ নং হাফছড়ি মৌজার হেডম্যান মুরতি মোহন চাকমা, মানিকছড়ি উপজেলার ২২৪ নং কুমারী মৌজার হেডম্যান মংচিনু চৌধুরী, ২২১ নং মম্প্রুতলী মৌজার হেডম্যান যতিন্দ্র লাল চৌধুরী, ১৯৮ নং সুদুরখীল মৌজার হেডম্যান অয়মনি চাকমা, ২৩০ নং বাটনা মৌজার হেডম্যান গংরা চৌধুরী, ২৩১ নং কালাপানি মৌজার হেডম্যান রিপ্রুচাই চৌধুরী, ২৩৪ নং চেম্প্রু মৌজার হেডম্যান থোয়াইচিং চৌধুরী, মাটিরাঙ্গা উপজেলার ১৯৯ নং বাইল্যাছড়ি মৌজার হেডম্যান ত্রিদ্বীপ নারায়ণ ত্রিপুরা, ১৯৭ নং গুইমারা মৌজার হেডম্যান রেচাই মারমা, ২০০ নং তৈমাতাই মৌজার হেডম্যান বিমল কান্তি ধামাই, সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের দেবলছড়ি মৌজার হেডম্যান কংঞো চৌধুরী, ৩নং হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, ৭নং গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেমং মারমা, রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মানেন্দ্র ত্রিপুরা, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মানেন্দ্র চাকমা, মানিকছড়ি উপজেলার ৮নং বাটনাতলী ইউনিয়নের মেম্বার লাব্রেচাই মারমা, কার্বারী এসোসিয়েশনের মানিকছড়ি থানা শাখার সভাপতি উদ্রাসাই কার্বারী সহ তিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামের মেম্বার এবং কার্বারী বৃন্দ।