রামগড়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বিক্ষোভ
সিএইচটিনিউজ.কম
রামগড়(খাগড়াছড়ি): রাঙামাটির বগাছড়িতে পাহাড়িতের ৫৭ বসতবাড়ি ও দোকানে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেফতার ও বিচার এবং কাপ্তাইয়ে স্কুলছাত্রী ছবি মারমা(উমাসিং)-কে ধর্ষণের পর হত্যার সাথে জড়িত সেটলার বাঙালি রানা ও নিজাম’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রামগড় উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম রামগড় থানা শাখা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিক্ষোভ মিছিলটি রামগড় উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য থেকে বের হয়ে রামগড় বাজার প্রদক্ষিণ করে আবার মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্যের সামনে মিলিত হয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে পিসিপি নেতা অমল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় থানা শাখার সভাপতি গোলাপ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক জিকো ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রতন স্মৃতি চাকমা, পাতাছড়া ইউনিয়নের মেম্বার মানেন্দ্র চাকমা ও রামগড় সরকারি কলেজ শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক সমর জ্যোতি চাকমা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটলার বাঙালি কর্তৃক এ যাবৎ পাহাড়িদের উপর সংঘটিত গণহত্যা, সাম্প্রদায়িক হামলা, নারী ধর্ষণ-গুম-খুন-অপহরণ এবং ভূমি বেদখলের সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় কাপ্তাইয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যা এবং বগাছড়িতে পাহাড়ি গ্রামে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বক্তারা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বক্তারা ছবি মারমা(উমাসিং)-কে ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত নিজাম ও মাসুদ রানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বগাছড়িসহ তিনটি পাহাড়ি গ্রামে হামলা-অগ্নিসংযোগ, বৌদ্ধ মন্দির ভাংচুর ও বৌদ্ধ ভিক্ষুকে মারধরের সাথে জড়িত সেটলারদেরকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাপ্তাইয়ে চিৎমরম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ছবি মারমা(উমাসিং)-কে নিজাম ও রানা নামের দু’জন বাঙালি সেটলার ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করে। অপরদিকে, ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় নানিয়াচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের সুরিদাস পাড়া, নবীন তালুকদার পাড়া ও বগাছড়ি পাড়ায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় সেটলার বাঙালিরা পাহাড়িদের ৫৭টি বাড়ি ও দোকানে অগ্নিসংযোগ, বৌদ্ধ বিহারে হামলা-বুদ্ধমূর্তি ভাংচুর-বৌদ্ধ ভিক্ষুকে মারধর, বুদ্ধমূর্তি ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায়।
—————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।