রামগড় : খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় গত ২৭ জানুয়ারি পাহাড়ি গ্রামে বিজিবি-সেটলারদের যৌথ হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর-লুটপাটের প্রতিবাদে আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে এলাকার জনগণ মানববন্ধন করতে গেলে সেনা-বিজিবি-পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং ২ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, আজ সকাল ১১টার দিকে এলাকাবাসীর উদ্যোগে রামগড় সদরে প্রতিবাদী মানববন্ধন করতে যাবার সময় যৌথ খামার এলাকায় বিজিবি’র সদস্যরা মানববন্ধনে যোগ দিতে যাওয়া লোকজনকে বহনকারী গাড়িগুলো আটকায় এবং লোকজনের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে কর্মসূচি ভণ্ডুল করে দেয়ার চেষ্টা করে। এরপর এলাকার জনগণ জড়ো হয়ে সেখানে মানববন্ধন করতে চাইলে বিজিবির সদস্যরা হঠাৎ পিসিপি’র রামগড় উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নরেশ ত্রিপুরাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আটকের চেষ্টা করলে জনগণ এতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় সেনা-বিজিবি-পুলিশ ও সেটলাররা যৌথভাবে আবারো লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে হেমন্ত ত্রিপুরা(২২), যতিন ত্রিপুরা(৪২) ও অমল ত্রিপুরা(২৫)সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী গুজাপাড়া থেকে মালতী ত্রিপুরা(৩২) ও হিরণ ত্রিপুরাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
উক্ত হামলার ঘটনায় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি রামগড় উপজেলার হাচৌক পাড়ায় ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের টু-আইসি মোঃ জাহিদ-এর নেতৃত্বে বিজিবি’র সদস্যরা একদল সেটলারকে নিয়ে পাহাড়িদের বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাটসহ দিনভর তাণ্ডব চালায় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পাহাড়িদের হুমকি দেয়।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।