ডেস্ক রিপোর্ট, সিএইচটিনিউজ.কম
দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের সংগঠন জুম্ম পিপলস নেটওয়ার্ক-কোরিয়া (জেপিএন-কে) ১৭ এপ্রিল সংঘটিত রামগড় হামলার প্রতিবাদে রাজধানী সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। জুম্ম পিপল্স নেটওয়ার্কের সদস্যরা ছাড়াও সোসালিস্ট পার্টি অব কোরিয়া, বুড্ডিস্ট সলিডারিটি ফর রিফর্ম ও পিএনএএন নামে একটি এনজিওর প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। এছাড়া মিডিয়ার লোকজনও এতে উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভেরর সময় জেপিএনকে‘র সদস্য ও তাদের কোরীয় সমর্থকরা রামগড় হামলাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত মানবাধিকার লক্সঘনের প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন ও বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
সংবাদ সম্মেলন নাম দিয়ে আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে সোসালিস্ট পার্টি অব কোরিয়ার সাবেক সভাপতি চো কোয়ান ইয়ুন (Cho Kwang Eun) রামগড় হামলাকে ঘৃন্য বলে অভিহিত করেন৷ তিনি বলেন এ ঘটনাটি এমন সময় ঘটানো হয়েছে যখন পাহাড়িরা তাদের প্রধান সামাজিক উত্সব বৈসাবি‘র আমেজে ছিলেন।
এক পর্যায়ে বাংলাদেশ এ্যম্বেসির এক স্টাফ মাইকের সাউন্ড কমানোর অনুরোধ করলে পিএনএএন-এর প্রধান হোটায়েগ লি তার উদ্দেশ্যে বলেন, “লাউড স্পিকারের উত্পাত সহ্য করতে হবে, কারণ জুম্ম জনগণের অধিকার অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ৷” তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে অবিলম্বে মানবাধিকার বন্ধের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।
জেপিএন-কে-র সাধারণ সম্পাদক ছোটো চাকমা ও প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রনেল চাকমার উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি শান্তি জীবন চাকমা ও অর্থ সম্পাদক প্রজ্ঞা দ্বীপ চাকমা। এছাড়া প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেপিএনকে-র সহসভাপতি সুগত নন্দ চাকমা।
সমাবেশ শেষে জেপিএনকে-র প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ এ্যম্বেসি কর্তৃপক্ষের হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। এতে রামগড় ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচার, জুম্ম জনগণের ওপর হামলা বন্ধ, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী ও সেটলারদের প্রত্যাহার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রদানের দাবি জানানো হয়। ইউপিডিএফ-এর প্রেস সেকশানের দায়িত্বরত নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।