মহালছড়ি : রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় সেনা-প্রশাসনের সহযোগীতায় সেটলার কর্তৃক পাহাড়ি গ্রামে হামলা, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম মহালছড়ি থানা শাখা।
আজ শনিবার (৩ জুন) বেলা ১২.৩০ টার দিকে মহালছড়ি উপজেলা সদরের দুরছড়ি থেকে মিছিল শুরু হয়ে কলেজ গেটে গিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর মহালছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পিপি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম মহাছড়ি উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি স্বপন বিকাশ চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মহালছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি মেনন চাকমা।
এদিকে মেনন চাকামার বক্তব্যকালে একদল সেনা সদস্য এসে বাধা দেয় এবং সমাবেশ শেষ করার জন্য হুমকি প্রদান করে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিল বের করতে চাইলে সেনরা আবার বাধা দেয় এবং ব্যানার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, লংগদু উপজেলা সদরে পাহাড়ি গ্রামে হামালার ঘটনা ছিল পরিকল্পিত। মটর সাইকেল চালকের লাশ পাওয়াকে কেন্দ্র করে লংগদু উপজেলা সদরে যুবলীগের নেতৃত্বে যে সমাবেশ হয়েছিলো সেখানে সেনা-প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন এবং বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে এই হামলার ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে এই হামলার সাথে সেনা-প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগীতা ছিলো।
মেনন চাকমা বলেন, ১৯৮৯ সালে ৪মে লংগদু গণহত্যার ঘটনা সেনা-সেটলার কর্তৃক সংঘটিত হয়েছিলো। তার বিচার না হওয়াতে একই কায়দায় পরিকল্পিতভাবে ২ জুনের হামলা চালানো হয়েছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে পাহাড়ি গ্রামে হামলা ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
——————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।