লংগদু গণহত্যা স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনাসভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

0
10
চট্টগ্রাম : বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-চবি শাখার সভাপতি সুনয়ন চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুপন চাকমার সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন প্রসেনজিত ত্রিপুরা, রিংকু চাকমা, ত্রিরত্ন চাকমা, রোনাল চাকমা প্রমুখ।
আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮৯ সালের ৪ঠা মে লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার তার অফিসের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এই ঘটনাকে শান্তিবাহিনীকে দায়ী করে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সেটলার বাঙালিরা নিরীহ পাহাড়ি গ্রামবাসীদের উপর নির্বিচারে হত্যাকান্ড ঘটায়। এই গণহত্যায় কম করে ৩৬ জন নারী-পুরুষ ও শিশু মারা যায়। ৬টি গ্রামে পাহাড়িদের শত শত ঘর-বাড়ি, অসংখ্যা বৌদ্ধ মন্দির, ও গীর্জা জ্বালিয়ে দেয়া হয়। যারা বেঁচে যায় তারা আশ্রয়ের জন্য পাহাড়ে ও জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এবং বিরাট অংশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়।
বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার পর পাহাড়িদের উপর ডজন খানেক গণহত্যা সংঘটিত হলেও লংগদু গণহত্যার তাৎপর্য অন্য জায়গায়। বর্বরতম এই গণহত্যার প্রতিবাদের মধ্য দিয়েই জন্মলাভ করে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। লোমহর্ষক এই গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ১৯৮৯ সালের ২১ শে মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভা করে। এ বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশসহ দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দাবি করে।
বক্তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, লংগদু গণহত্যার আজ ২৯ বছর অতিক্রান্ত হলেও কোনো সরকারই এ বর্বরতম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
আলোচনাসভা শেষে গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
________
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।
Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.