গত ১৫ এপ্রিল ২০১০ রাত আনুমানিক ১২টার সময় কালাচিজি চাকমা(৩৮) স্বামী-কান্দারা চাকমা, গ্রাম-মরাচেঙ্গী বাদী পাড়া, ইউপি-১ নং লক্ষীছড়ি সদর কে লক্ষীছড়ি স্থানীয় সেটলার বাঙালি ও ভিডিপি সদস্য হামিদুল্লাহ, পিতা-নওশের গাজী, গ্রাম-লক্ষীছড়ি গুচ্ছগ্রাম জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। হামিদুল্লাহ আগে আর্মিদের সোর্স হয়ে কাজ করতো।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কালাচিজি চাকমা ঘটনার দিন লক্ষীছড়ি থানা সদরের কাছে বান্দরকাবা মুখ গ্রামে তার বিয়াইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেদিন রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলো তখন হঠাৎ করে হামিদুল্লাহ বাড়ির ভিতর ঢুকে কালাচিজি চাকমাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়, তার ব্লাউজ ছিড়ে দেয় এবং গায়ে কামড় দেয়। এ সময় কালাচিজি চাকমা চিৎকার করলে বাড়িতে থাকা লোকজন সহ আশে-পাশের লোকজন হামিদুল্লাহকে ধরে ফেলে এবং কিছু উত্তম মধ্যম দেয়ার পর তাকে তার বড় ভাই মো: আজিবরের হাতে গছিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর দিন ১৬ এপ্রিল কালাচিজি চাকমা লক্ষীছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। কিন্তু এখন মামলা নিয়ে থানা প্রশাসন নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতার না করে উল্টো বাদী সহ তার আত্মীয়-স্বজনকে মামলা প্রত্যাহার করতে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে বাদীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামিদুল্লাহর পক্ষ থেকে থানায় প্রচুর টাকা ঘুষ দেয়া হয়েছে। থানায় বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে এএসআই(থার্ড অফিসার) মো: জাহাঙ্গীর দায়িত্বে রয়েছেন।
হিল উইম্সে ফেডারেশন-এর খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি রিকু চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক মাদ্রী চাকমা এক বিবৃতিতে উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ ধরণের ঘটনা নতুন নয়। বরাবরই প্রশাসন দোষী ব্যক্তিদের পক্ষ নেয়। যার ফলে দোষীরা পার পেয়ে যায়। ঘটনার পর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও হামিদুল্লাহকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। বরং প্রশাসন অন্যান্য ঘটনার মতো দোষী ব্যক্তিকে রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অবিলম্বে কালাচিজি চাকমাকে ধর্ষণ প্রচেষ্টাকারী চিহ্নিত অপরাধী লক্ষীছড়ি ভিডিপি সদস্য হামিদুল্লাহকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।