লক্ষ্মীছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক দুই ব্যক্তিকে মারধর ও বোরকা পার্টির সন্ত্রাসী কর্তৃক দুই ব্যক্তিকে অপহরণ ঘটনায় ইউপিডিএফ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Bibrityখাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক দুই নিরীহ ব্যক্তিকে মারধর ও বোরকা পার্টির সন্ত্রাসী কর্তৃক দুই ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে লক্ষ্মীছড়ি সেনাজোন থেকে একদল সেনা সদস্য তাদের মদদপুষ্ট বোরকা পার্টির এক সদস্যকে সাথে নিয়ে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুল্যাতলী ইউনিয়নের হাজাছড়ি ও মহালছড়ি উপজেলার সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের চংড়াছড়ি গ্রামে হানা দিয়ে গুরিঙ্যা চাকমা(২৫) পিতা- বালি ধন চাকমা ও বরপেদা চাকমা(৩৫) পিতা- লক্ষ্মীধন চাকমা-কে আটক করে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে লাম্বাছড়া গ্রামের একটি বাড়ির উঠানে কাঁঠাল গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে তাদেরকে বেধড়ক মারধর করার পর আহত অবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে যায়। পরে পরিবারের লোকজন সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। সেনাদের বেদম মারধরের কারণে বরপেদা চাকমা মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

অপর ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সেনা মদদপুষ্ট বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীরা লক্ষ্মীছড়ি সেনাজোনের আনুমানিক ২০০ গজ দূরত্বের শিলাছড়ি ব্রিজের কাছ থেকে শিলাছড়ি গ্রামের কালা মোহন চাকমার ছেলে মোটর সাইকেল চালক নিরোধ চাকমা(৩৪) ও মংসাথোয়াই মারমার ছেলে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সদস্য অংসিলা মারমা(২২)-কে অপহরণ করে। অবশ্য পরে দুপুর ১২টার দিকে প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার শর্তে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। স্থানীয় জোনের সেনাদের প্রত্যক্ষ মদদে বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীরা এসব অপকর্ম সংঘটিত করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সাম্প্রতিককালে মাটিরাংগা, রামগড়, গুইমারা, লক্ষ্মীছড়ি ও মানিকছড়ি এলাকায় সেনা নির্যাতন বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রদীপন খীসা বলেন, গত ১০ আগস্ট গুইমারার ইন্দ্রমনি কার্বারী পাড়া থেকে আটকের পর সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(পিসিজেএসএস-এমএন লারমা)-এর সংগঠক তিমির বরণ ওরফে ডুরন চাকমার মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ৮ আগস্ট পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা রিয়েল ত্রিপুরাকে প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে আটক করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে চুক্তির আগে যেভাবে সেনা নির্যাতন চালানো হয়েছে তা এখনো বহাল রয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে নিরীহ জনগণ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের উপর সেনা নির্যাতন বন্ধ করা এবং বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীদের মদদান ও তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More