লামায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে পাহাড়িদের ভূমি বেদখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

0
22

লামা (বান্দরবান), সিএইচটি নিউজ
মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

বহিরাগত বাঙালি কর্তৃক ভূমি বেদখল চেষ্টার প্রতিবাদে লামা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভূক্তভোগীরা।

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাংগু মৌজায় বহিরাগত বাঙালি কর্তৃক পাহাড়িদের ভূমি অবৈধভাবে বেদখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পাহাড়িরা।

আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন ২০২৩) দুপুরে লামা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ভুক্তভোগী হরি চন্দ্র ত্রিপুরা ও ক্যচিং ম্রো ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিন ও আওয়ামী লীগের ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন মামুনের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন পাড়ার কারবারী কিষ্টরাং ত্রিপুরা, বলি চন্দ্র ত্রিপুরা প্রমুখ।

ভূমি বেদখল চেষ্টাকারী মো. গিয়াস উদ্দিন ও মোহাম্মদ হোসাইন মামুন উভয়েই বগাইছড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গতিরাম পাড়ার বাসিন্দা হরি চন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে চন্দ্র মনি ত্রিপুরা।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালে হরি চন্দ্র ত্রিপুরা হেডম্যান রিপোর্ট মূলে দুই একর প্রথম শ্রেণী ও তিন একর দ্বিতীয় শ্রেণীর জমি আবাদ করে সেখানে খামার ঘরসহ বিভিন্ন ফলজ, বনজ গাছের বাগান সৃজন করে ভোগ করে আসছেন। একইভাবে পাশের ক্যাচিং ম্রোও ১১২ নং হোর্ল্ডি মূলে তিন একর তৃতীয় ও দুই একর দ্বিতীয় শ্রেণীর জমি আবাদ করে বসতঘর ও বিভিন্ন ফলজ বনজ বাগান সৃজন করে ভোগ করছেন। তাদের পাশে বগাইছড়ি গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তির নামে ২৫ একর রাবার প্লট রয়েছে।

এতে অভিযোগ করে বলা হয়, আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ গিয়াস উদ্দিন ও মোহাম্মদ হোসাইন মামুন রাবার প্লটের কাগজ দেখিয়ে হরি চন্দ্র ত্রিপুরা ও ক্যচিং ম্রো’র ভোগদখলীয় ভূমি জবরদখল করার চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে বিগত ২০১৭ সালে অতর্কিতভাবে ৯-১০ জন শ্রমিক নিয়ে এসে হরি চন্দ্র ত্রিপুরা ও ক্যচিং ম্রো’র রোপন করা ৩০০ কলা গাছসহ বিভিন্ন গাছের চারা কেটে দেয়। এ ঘটনায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পায়নি বলে লিখিত বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন।

তারা আরও বলেন, গত মে মাসে স্থানীয় হেডম্যান, কারবারী, ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি মিমাংসা হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই গত ২৪ মে ২০২৩ মো. গিয়াস উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হয়রানিমূলক ১৪৫ ধারায় একটি মামলা করেন। এতে

ক্যাচিং ম্রো, থাংবুই ম্রো, বলি চন্দ্র ত্রিপুরা, হরি চন্দ্র ত্রিপুরা ও তার ছেলে এনজিও কর্মী চন্দ্র মনি ত্রিপুরাকে বিবাদী করা হয় বলে তারা অভিযোগ করেন।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.