লামায় ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ
সিএইচটিনিউজ.কম
উথোয়াই মারমা,লামা( বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ বান্দরবানে লামা উপজেলা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড সহ পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন ও দূর্গম এলাকায় গত ৬ দিনের টানা বৃষ্টিতে মাতামুহুরী নদীর বিপদ সীমার দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় পৌর এলাকার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। যার ফলে লামায় ভারী বর্ষনে জীবন যাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।
পৌর এলাকা সহ দুর্গম ইউনিয়নে টিউবয়েল, গভীর নলকূপ ও রিংওয়েল বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দূর্গম এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে নদী, খাল ও ছড়ার পানি পান করায় লোকজনের মাঝে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, কলেরা ও টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়ছে।
বর্তমানে উপজেলা ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি পানি কমে যাওয়ায় লামা হতে চকরিয়া ও আলীকদম সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে চলেছে। তবে ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে সাধারণ মানুষেরা ভোগান্ততে পড়েছেন।টানা ৪৮ ঘন্টা লামা বাজারে পানি স্থিত থাকায় লামা বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের দোকান পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা যায়। নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতবাড়ী বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
লামা পৌর এলাকার বন্যার পানি নেমে গেলেও হরিণ ঝিরিতে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণের টাকায় পরিচালিত একমাত্র মৎস্য খামার লামা ফিসারী কমপ্লেক্স এখনো পানি নামতে দেখা যায়নি। ফিসারী কমপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান আমির হোসেন জানান, ২০১২ সালে বন্যা ডুবিতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। উক্ত ক্ষয়ক্ষতি পূঁষিয়ে নতুন করে দাঁড়ানো মৎস্য খামারটি আবার বৃহস্পতিবার ভোর রাতের পানিতে সর্ম্পূন্ন ডুবে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মাছ ও পোনা চলে যায়। বার বার বন্যায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পথে ফিসারী কমপ্লেক্সটি।
উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা হতে বন্যায় ক্ষতি গ্রস্থ এলাকায় সাধারন মানুষ ও বাজারে ব্যবসায়ীরা কোন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়ায় তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জেলা প্রশাসন মিজানুল হক চৌধুরী জানান, লামা উপজেলার বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৩০ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
———————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।