আগামীকাল লোগাং গণহত্যার ১৮ বছর পূর্ণ হবে। এ উপলক্ষে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি রতন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি রেমিন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর জেলা শাখার সভাপতি রিকু চাকমা ৯ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে লোগাং গণহত্যা সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশ ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, ১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং-এ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালানো হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণ যখন বৈসাবি উৎসবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল তখনই এ গণহত্যা চালিয়ে লোগাং এলাকাকে রক্তে রঞ্জিত করা হয়। উক্ত গণহত্যায় বহু লোক নিহত হয় এবং অনেকে আহত হয়ে এখনো পঙ্গুত্ব বরণ করছে। এছাড়া অগ্নিসংযোগ করে সম্পূর্ণ গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, উক্ত গণহত্যার পর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে সর্বস্তরের জনতা লোগাং অভিমুখে লংমার্চ করে। দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ফলে সরকার বাধ্য হয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে। কিন্তু অদ্যাবধি তদন্ত কমিটির প্রকৃত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবতকালে ডজনের অধিক গণহত্যা সংঘটিত হলেও কোন ঘটনারই প্রকৃত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকার বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে ডজনের অধিক সংঘটিত গণহত্যার ব্যাপারে কোন সরকারই পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনকি ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না করে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। উপরন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়ন-নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ পূর্বাবস্থায় বলবৎ রেখে পাহাড়িদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে ‘৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীরা যেভাবে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন চালিয়েছে, ঠিক তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠিটিও একইভাবে পাহাড়ি জনগণের উপর গণহত্যা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। শত শত মা বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে হাজার হাজার লোককে আহত-পঙ্গু বানিয়েছে। শত শত ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে পাহাড়িদেরকে সর্বশান্ত করেছে। কাজেই বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীরা যে অপরাধে অপরাধী পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠিটিও একই অপরাধে অপরাধী। সুতরাং বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যে পদ্ধতিতে করা হবে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত গণহত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও সেই পদ্ধতিতে বিচার করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা অবিলম্বে লোগাং গণহত্যা সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, ১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং-এ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালানো হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণ যখন বৈসাবি উৎসবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল তখনই এ গণহত্যা চালিয়ে লোগাং এলাকাকে রক্তে রঞ্জিত করা হয়। উক্ত গণহত্যায় বহু লোক নিহত হয় এবং অনেকে আহত হয়ে এখনো পঙ্গুত্ব বরণ করছে। এছাড়া অগ্নিসংযোগ করে সম্পূর্ণ গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, উক্ত গণহত্যার পর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে সর্বস্তরের জনতা লোগাং অভিমুখে লংমার্চ করে। দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ফলে সরকার বাধ্য হয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে। কিন্তু অদ্যাবধি তদন্ত কমিটির প্রকৃত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবতকালে ডজনের অধিক গণহত্যা সংঘটিত হলেও কোন ঘটনারই প্রকৃত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকার বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে ডজনের অধিক সংঘটিত গণহত্যার ব্যাপারে কোন সরকারই পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনকি ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না করে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। উপরন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়ন-নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ পূর্বাবস্থায় বলবৎ রেখে পাহাড়িদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে ‘৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীরা যেভাবে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন চালিয়েছে, ঠিক তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠিটিও একইভাবে পাহাড়ি জনগণের উপর গণহত্যা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। শত শত মা বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে হাজার হাজার লোককে আহত-পঙ্গু বানিয়েছে। শত শত ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে পাহাড়িদেরকে সর্বশান্ত করেছে। কাজেই বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীরা যে অপরাধে অপরাধী পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠিটিও একই অপরাধে অপরাধী। সুতরাং বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যে পদ্ধতিতে করা হবে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত গণহত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও সেই পদ্ধতিতে বিচার করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা অবিলম্বে লোগাং গণহত্যা সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।