শর্ত সাপেক্ষে সাজেক পর্যটন সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা

0

বাঘাইহাট জীপ সমিতি কর্তৃক বাঘাইহাট স্টেশনে অবরোধ করে পাহাড়িদের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিলে তার প্রতিবাদে উজোবাজার এলাকায় পর্যটন সড়কে নেমে আসেন বিক্ষুব্ধ জনতা। তারাও পাল্টা পর্যটন সড়ক অবরোধ করেন। 


সাজেক প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ২১ মে ২০২৫

রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাটে আজ বুধবার (২১ মে ২০২৫) সকাল হতে বাঘাইহাট জীপ সমিতি কর্তৃক সড়ক অবরোধ করে সাজেক-দীঘিনালা সড়কে চলাচলকারী পাহাড়িদের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে উজো বাজার ও মাচালঙ বাজার এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি, সিএনজি-মাহেন্দ্র সমিতিসহ এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা উজোবাজার এলাকায় জড়ো হয়ে পাল্টা পর্যটন সড়ক অবরোধ করেন। এতে পর্যটকবাহী গাড়িসহ সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর উদ্ভুত পরস্থিতি সমাধানের জন্য বাঘাইহাট জোন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাহাড়ি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করেন। এরপর শর্ত সাপেক্ষে পর্যটন সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয় এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা।

জানা যায়, সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা ও স্হানীয় পাহাড়ি ব্যবসায়ীদের বাঘাইহাট জোনে ডেকে পাঠিয়ে পর্যটন সড়কে অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। একই সাথে বাঘাইহাট জীপ সমিতির অবরোধও তুলে নিতে সেনাবাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস প্রদান করা হয়।

এরপর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বাঘাইহাটে জীপ সমিতির অবরোধ তুলে নেয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পরবর্তীতে যদি বাঙালিরা বা বাঘাইহাট জীপ মালিক সমিতি অবরোধের নামে যান চলাচলে বাধা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে—এমন আশ্বাস/শর্তে দীর্ঘ বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ তুলে নিয়ে পর্যটন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনতা পর্যটন সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

বাঘাইহাট জীপ সমিতি কর্তৃক গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে উজোবাজারে মাহেন্দ্র-সিএনজি দিয়ে পর্যটন সড়ক অবরোধ করা হয়। 


এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ভবিষ্যতে যদি বাঘাইহাট জীপ সমিতি কর্তৃক ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহন ও সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি করা হয় তাহলে আরো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে তা মোকাবেলা করা হবে। তিনি হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বাঘাইহাট জীপ সমিতির প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, বাঘাইহাট জীপ সমিতি বাঙালিদের(সেটলার) দ্বারা পরিচালিত। বাঘাইহাট সেনা জোনে দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থার কতিপয় লোকজন তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। ফলে তারা প্রায় সময় তাদের সমিতির গাড়ি ব্যবহার করতে ব্যবসায়ীদের বাধ্য করে থাকে। দীঘিনালা বা খাগড়াছড়ি থেকে কোন ব্যবসায়ী মালামাল নিয়ে আসলে সেগুলো তারা বাঘাইহাট বাজারে নামিয়ে তাদের জীপ গাড়িতে করে পরিবহনে বাধ্য করে। এতে বাইরের ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হন।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More