চবি প্রতিবেদক।। ইউপিডিএফ-এর অন্যতম সংগঠক মিঠুন চাকমার স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্বলন করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার।
আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি ২০১৮) বিকাল ৪ টায় মিঠুন চাকমার স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিসিপি-চবি শাখার সহ-সভাপতি অংকন চাকমার সঞ্চালনায় এবং সভাপতি সুনয়ন চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভার শুরুতে অধিকার আদায়ের সংগ্রামের পথে মিঠুন চাকমাসহ আজ পর্যন্ত সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এরপর মিঠুন চাকমাকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পিসিপি-চবি শাখার তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক প্রসেনজিৎ ত্রিপুরা বলেন, “মিঠুন চাকমার মৃত্যুতে শুধুমাত্র ইউপিডিএফ-র ক্ষতি হয়েছে তা নয়। মিঠুন চাকমার মতো একজন ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতার মৃত্যু সমগ্র জুম্ম জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।”
সভাপতির বক্তব্যে সুনয়ন চাকমা বলেন, “যত সময় যাবে তত পার্বত্য চট্টগ্রামে দুইটা পক্ষ স্পষ্ট হবে। একটা পক্ষ জনগণকে নিয়ে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করবে। আরেকটা পক্ষ নিজেদের দল ও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে শাসকগোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর পা চাটবে। এখনই আমাদেরকে ঠিক করতে হবে আমরা কোন পক্ষে থাকবো।”
তিনি আরো বলেন, “মিঠুন চাকমাকে হত্যা-এটা ভাতৃঘাতী সংঘাত নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আল-বদরের মতো বাহিনীগুলো যেরকম ক্ষতি করেছে ঠিক সেরকম সেনা-গোয়েন্দা বাহিনী দ্বারা সৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনীর কিছু পরিমাণ আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করবে মাত্র। ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের ইতি অনেক আগেই ঘটেছে। সেই ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত যেন আবার নতুন করে দানা বাঁধতে না পারে তার জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যের পর শহীদ মিঠুন চাকমার স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি ২০১৮ দুপুর ১২টার দিকে খাগড়াছড়ির নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে স্লুইচ গেট এলাকায় মিঠুন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে সেনা-গোয়েন্দা সৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।
—————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।