শিক্ষাঙ্গনে ভয়-ভীতি মুক্ত পরিবেশের দাবিতে কাউখালীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ

0


কাউখালী প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

“শিক্ষাঙ্গনে ভয়ভীতি প্রদর্শন নয়, শিক্ষা লাভের সুষ্ঠু পরিবেশ চাই” শ্লোগানে ‘সেনা অপারেশনের নামে স্কুলভবন দখল, স্কুল মাঠে সামরিক মহড়া ও জিজ্ঞাসাবাদের নামে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে রাঙামাটির কাউখালীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর ২০২৫) বেলা ২টার সময় “কাউখালী এলাকার সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ” ব্যানারে চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী কাউখালি সরকারি কলেজ থেকে মিছিল সহকারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান এবং কার্যালয়ের মাঠে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।  

মিছিলে তারা “অবিলম্বে সেনা সন্ত্রাস বন্ধ কর, অপারেশনের সময় স্কুলঘর দখল করা চলবে না, নির্ভয়ে পড়ালেখা করতে চাই, অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই” এমন বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন ও শ্লোগান দেন।

ছাত্র-ছাত্রীরা যখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি পেশ করতে যান তখন দুপুরের খাবার বিরতির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান কার্যালয়ে ছিলেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিধিদেরকে নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলা হয়। আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে বলা হয়, ‌‌“স্যার আসতে আরো ১৫/২০ মিনিট লাগবে, ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।”


স্মারকলিপি গ্রহণে এমন গড়িমসি করায় ছাত্র-ছাত্রীরা অফিস স্টাফদের সরাসরি বলে দেন, “স্মারকলিপি গ্রহণ না করলে আমরা এখান থেকে চলে যাবো না।” এসময় উপজেলা পরিষদ মাঠে ছাত্র-ছাত্রীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন বিরোধী মুহুর্মুহু শ্লোগান দেন।

পরে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবল চাপে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে হিসাব সহকারী মো. রুবেল মিয়া এবং অফিস সহায়ক মো. জামাল স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।




শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর প্রদত্ত স্মারকলিপিতে তার বলেন, ‍‍“বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী সেনা অপারেশনেরর সময় আমাদের বিদ্যালয়গুলোর ভবনে অবস্থান করে, আমাদের খেলার মাঠ ব্যবহার করে এবং আমাদের হয়রানি করে। অথচ তখন আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকে। যেমন গতকাল ৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে একদল সেনা সদস্য হারাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন ও মাঠ দখল করে সামরিক প্রশিক্ষণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে স্কুলের স্বাভাবিক পাঠদান ও গ্রহণ কাযক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সেনারা নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করে আমাদের হয়রানি করে থাকে। এতে আমরা আতঙ্কিত ও ভীত হই। আমরা ভয় ভীতিমুক্ত পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের অধিকার চাই।”



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More