সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে তিন সংগঠনের পোস্টারিং

0

IMG_7352

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ৩০ জুন সংবিধানের বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনীর আইন পাসের দিন। ২০১১ সালের এই দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাসের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সকল সংখ্যালঘু জাতিসমূহের উপর জোরপূর্বক উগ্রবাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছিল। যার মাধ্যমে সরকার এদেশের বাঙালি ভিন্ন অন্য জাতির অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছিল।

উক্ত সংশোধনীতে জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব সম্পর্কে ৬(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- “বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন”।

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু ভিন্ন ভাষাভাষি জাতিসত্তাসমুহ সরকারের এই চাপিয়ে দেয়া বাঙালি জাতীয়তা মেনে নেয়নি। পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাসের পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং দেশের বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন, ব্যক্তি ও জাতিসত্তার জনগণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার এখনো এই উগ্রবাঙালি জাতীয়তাবাদী সংবিধান সংশোধন না করে বহাল রেখেছে।

বিতর্কিত এই পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনরত তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন (গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন) তিন পার্বত্য জেলাসহ ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারিং করেছে।

পোস্টারে শ্লোগান হিসেবে লেখা রয়েছে- ‘সংবিধানের বিতর্কিত “পঞ্চদশ সংশোধনী” মানি না, মানবো না’ ‘ বাঙালি জাতীয়তা নয়, সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই’।

পোস্টারে আহ্বান জানিয়ে লেখা হয়েছে- ” উগ্র জাতীয়তাবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক শক্তি এক হোন, লড়াই করুন।

আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে পোস্টারে লেখা হয়েছে- ” পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ‘১১ নির্দেশনা’ প্রত্যাহার ও ধরপাকড়, নিপীড়ন নির্যাতন বন্ধ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া ও ভূমি বেদখল বন্ধের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলুন”।

পোস্টারটিতে একটি ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে।

এছাড়া পোস্টারের ছবিতে সরকারের ফ্যাসিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের চিত্রও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
—————–

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More