কাউখালি : “সকল প্রকার নারী নির্যাতন,ধর্ষণ ও খুনের বিচার কর! রমেল খুনীদের সাঁজা দা্ও! ধর্ষণের মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট প্রদানে পার্বত্য চট্টগ্রামে জারিকৃত গোপন সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাতিলের দাবিতে” পাঁচ নারী সংগঠনের উদ্যোগে রাংগামাটির কাউখালীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ এপ্রিল সকাল ১০.৩০ টায় রাঙ্গামাটির কাউখালী খাদ্য গুদাম মাঠে পাঁচ নারী সংগঠন কর্তৃক আহুত নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লউএফ) কাউখালী থানা শাখার অর্থ সম্পাদক মিতালি চাকমার সঞ্চালনায় ও সাধারণ সম্পাদক দয়াসোনা চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) কাউখালী থানা শাখার সাধারন সম্পাদক থুইনুমং মারমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য প্রচার সম্পাদক রুপন মারমা প্রমূখ।
সমাবেশের পূর্বে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কচুখালী খেলোয়াড় সমিতি মাঠ থেকে শুরু হয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা খাদ্য গুদাম মাঠে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক দমনমূলক ১১ ’নির্দেশনা জারির ফলে সেনাবাহিনী অধিকতর ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে। যার কারনে পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বত্র তাদের কতৃত্ব শক্তভাবে কায়েম হয়েছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ এপ্রিল নান্যাচর উপজেলা মাঠ থেকে পিসিপি নেতা ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমাকে সেনাবাহিনী কতৃক অন্যায়ভাবে আটকের পর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। এই নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামসহ গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে সেনাবাহিনী শহীদ রমেল চাকমার হত্যাকান্ড ইস্যুটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা শুরু করে। এর অংশ হিসেবে গত ২৪ এপ্রিল “দৈনিক জনকন্ঠ” পত্রিকায় সাংবাদিক ফিরোজ মান্নাকে দিয়ে গৌতম বুদ্ধকে ‘সন্ত্রাসী’ অ্যাখ্যায়িত করে সংবাদ পরিবেশন করে নতুন ইস্যু তৈরীর চেষ্টা করে।বস্তুত পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী নিরাপত্তার নামে নিয়োজিত থাকলেও পাহাড়ি জনগণের কাছে তারাই নিরাপত্তহীনতার প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বক্তারা অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্র্রামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক অগণতান্ত্রিক ১১’নির্দেশনা বাতিল, নারী ধর্ষণের মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট প্রদানে সরকারের জারিকৃত গোপন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ এযাবতকালে সংঘটিত নারী ধর্ষণ ও খুনের বিচার, প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি প্রদান এবং ছাত্র নেতা রমেল চাকমা হত্যায় জড়িত সেনা কর্মকর্তাসহ জড়িত সকল সেনা সদস্যদের দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
_______
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।