ঢাকা রিপোর্টার ॥
সেনাসৃষ্ট নব্য মুখোশবাহিনী কর্তৃক সাবেক পিসিপি নেতা ও ইউপিডিএফ-এর সংগঠক মিঠুন চাকমাকে হত্যার প্রতিবাদে আজ ৩ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। সমাবেশে বক্তারা হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও সাজার দাবি জানিয়েছেন। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রিয়েল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ফয়জুল হাকিম, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা কেন্দ্রীয় সভাাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশ লেখক শিবির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’র ঢাকা প্রতিনিধি প্রতিম চাকমা, ডিওয়াইএফ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন’র সভাপতি এম এম পারভেজ লেনিন, পিসিপি কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রোনাল চাকমা ও এইচডব্লিউএফ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নীতিশোভা চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা পিসিপি’র সাবেক নেতা ও ইউপিডিএফ’র অন্যতম সংগঠক মিঠুন চাকমাকে সেনাবাহিনীর সৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনী কর্তৃক গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সমাবেশ থেকে বক্তারা আরো বলেন, মিঠুন চাকমা শুধুমাত্র পার্বত্য এলাকা নয়, সারা বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কাজ করে গেছেন। তার রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা ও মান ছিল অনেক মহৎ ও উন্নত। তাই সেনাবাহিনী এই রাজনৈতিক মানসম্পন্ন নেতাকে হত্যা করতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তাদের সৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসী ক্যাডারদের ব্যবহার করেছে।
তারা আরো বলেন, মিঠুন চাকমা’র হত্যাকারী সন্ত্রাসী বাহিনীর ক্যাডাররা সবাই চিহ্নিত। তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ করতে পাহাড় কিংবা সমতল সমগ্র বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষদের ঐক্যভাবে প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে হবে। তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ে গণআদালতে প্রকাশ্যে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঢাকা প্রেসক্লাব গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে এসে পুনরায় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য আজ ৩ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে বারো টার দিকে সেনাসৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনীর ক্যাডারা টমটম ও মোটর সাইকেলে এসে নিজ বাসভবন থেকে সাবেক পিসিপি নেতা ও ইউপিডিএফ-এর খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম সংগঠক মিঠুন চাকমাকে অপহরণ করে এবং পথিমধ্যে খাগড়াছড়ি পৌর এলাকার সুইসগেইট নামক এলাকায় মাথায় ও পেটে গুলি করে পালিয়ে যায়। আহতবস্থায় মিঠুন চাকমাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
—————————————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।