ঢাকা : সাভারের আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকা থেকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম(ডিওয়াইএফ)-এর দুই নেতাকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। আজ শনিবার (২ জুন ২০১৮) বিকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- পিসিপি’র কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা ও যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমা।
আগামী ১২ জুন কল্পনা চাকম ‘র ২২ তম অপহরণ দিবসকে সামনে রেখে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমার নেতৃত্বে পিসিপি ও যুব ফোরামের একটি যৌথ টিম সাভারের শ্রমিক এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিলি করতে যায়। উক্ত টিমটি গত ৩০ মে ঢাকা থেকে প্রথমে আশুলিয়া এবং সেখান থেকে সাভারস্থ কাঠগড়া, পল্লী বিদ্যুৎ ও সবশেষে গতকাল গাজিরচট-এর বুড়ি বাজার এলাকায় যায়।

সফর টিমে নিরূপা চাকমা ছাড়াও আরো ছিলেন- এইচডব্লিউএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা, কেন্দ্রীয় সদস্য অবনিকা চাকমা, কেন্দ্রী কমিটির অর্থ সম্পাদক, রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দয়া সোনা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমা ও পিসিপি কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা।
গতকাল বুড়িবাজারে মিটিং শেষে শ্রমিক এলাকায় থেকে যান তাঁরা। আজ দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয়ভাবে ‘বেয়াজ্জে’ ফ্লাট নামে পরিচিত একটি কটেজে শ্রমিকদের সাথে একটি সভা আয়োজন করে। সভা শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে মহালছড়ি দাতকুপ্পে-এর অনিল চাকমার নেতৃত্বে দিঘীনালার অনাথ আশ্রম বোয়ালখালীর সুজিব চাকমা, নিউ লাল্যাঘোনার জুনান চাকমা, লংগদুর কাট্টলী এলাকার আনন্দ চাকমা, উগোলছড়ি মারিশ্যার প্রীতিময় চাকমা, মহালছড়ির চিঙ্গিনালার স্টোন চাকমা, দিঘীনালা আমতলীর ইফেল চাকমা, বাবুছড়ার নোয়া বাজার-এর আশীষ চাকমা ও আসেন্টু চাকমা নামে সংস্কারবাদী জেএসএস-এর একদল ভাড়াটিয়া দুর্বৃত্ত সভায় উপস্থিত হয়ে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং মোবাইল ফোন, লিফলেট ছিনতাই করার চেষ্টা চালায়। সফর টিমের সদস্যরাসহ উপস্থিত শ্রমিকরা তাতে বাধা দিলে এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা বাড়ির গেইট বন্ধ করে দেয় এবং শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার আসামী পরিচয়ে থানায় খবর দেয়।

প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর বিকাল ৪টার দিকে স্থানীয় আশুলিয়া থানা থেকে একদল পুলিশ এসে সভা থেকে ডিওয়াইএফ-এর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমা ও পিসিপি’র কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরাকে বিনা ওয়ারেন্টে আটক করে নিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন ও সফর টিমের নারী সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং তাঁরাও পুলিশের গাড়িতে ওঠে থানা পর্যন্ত যায়।

সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় লোকজন থানায় যোগাযোগ করলে আশুলিয়া থানার ওসি আব্দুল আওয়াল তাঁদের জানান- “আমার করার কিছু নাই। আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। খাগড়াছড়ি থেকে ব্রিগেড কমান্ডার রাঙামাটি এসপিকে নির্দেশ দিযেছেন এবং রাঙামাটির এসপি আমাদের এসপিকে মেসেজ দিয়ে বলেছেন সাভার এলাকায় শক্তিমানের দু’জন খুনি আত্মগোপন করে রয়েছে। তাঁদেরকে আটক করতে হবে। এসপি আমাকে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন তাই আমি তাঁদের ধরে এনেছি।”
বর্তমানে রিপন চাকমা ও সুনীল ত্রিপুরাকে আশুলিয়া থানায় রাখা হয়েছে।
_________
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।