সিন্দুকছড়িতে পাহাড়ি স্কুলছাত্রীকে যৌন হেনস্থা, অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ

ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারী মো. জসিম উদ্দিন।
গুইমারা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়িতে ৮ম শ্রেণির এক পাহাড়ি স্কুলছাত্রীকে (১৪) মো. জসিম উদ্দীন (৪৫) নামে এক সেটলার বাঙালি কর্তৃক যৌন হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জনতা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনায় জড়িত মো. জসিম উদ্দীনকে আটক করে এবং পরে তাকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।
অভিযুক্ত মো. জসিম উদ্দিনের বাড়ি মানিকছড়ি উপজেলার রহমান নগর বলে জানা গেছে। তার পিতার নাম মৃত- কেরামত আলী। সে পেশায় একজন কলা ব্যবসায়ী।
জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়। স্থানীয় সিন্দুকছড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাটবার হওয়ায় রাস্তায় লোকজনের ভীড়ের সুযোগে মো. জসিম উদ্দীন ওই ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হেনস্থা করে। এতে তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রী প্রতিবাদ করলে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদে সামিল হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় ও বাজারে আসা লোকজন মিলে যৌন হেনস্তাকারী মো. জসিম উদ্দীনকে আটক করে।
এরপর সিন্দুকছড়ি সেনা জোন থেকে একদল সেনা সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনতার হাতে আটক হওয়া মো. জসিম উদ্দীনকে উদ্ধার করে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে তারা জোরপূর্বক সরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পরে এলাকার শিক্ষার্থীরা এসে এ ঘটনার প্রতিবাদে ও যৌন হেনস্তাকারী মো. জসিম উদ্দীনের দ্রুত বিচার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সেখানে অবস্থান করে। পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ উত্তেজনা চলে।

পরে শিক্ষার্থী ও জনতার বিক্ষোভের মুখে সেনাবাহিনী অভিযুক্ত মো. জসিম উদ্দীনকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করতে বাধ্য হয়। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।