রাঙামাটি : সেনাবাহিনীর বাধার কারণে রাঙামাটির কুদুকছড়ি ও নান্যাচর এলাকার জনগণ ইউপিডিএফ সংগঠক শহীদ মিঠুন চাকমার দাহক্রিয়া ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারলো না।
আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে এলাকার জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ শত শত লোক কয়েকটি গাড়িযোগে খাগড়াছড়িতে যাওয়ার পথে প্রথমে কেঙেলছড়ি সেনা ক্যাম্পে বাধা দেওয়া হয়। সেনারা গাড়িগুলো আটকিয়ে দিলে লোকজন পায়ে হেঁটে হেঁটে মহালছড়ি কলেজ পর্যন্ত যায়। সেখান থেকে লোকজন আবার খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানেও তাদেরকে আটকিয়ে দেয়।
পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক রিতা চাকমা, রাঙামাটি জেলা শাখার সদস্য রণিকা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শান্তি প্রভা চাকমা ও সাপছড়ি ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ভাগ্যধর চাকমা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একজন মৃত মানুষের দাহক্রিয়া অনুষ্ঠানে যেতে যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে তাতে এটাই ইঙ্গিত বহন করে যে, মিঠুন চাকমা হত্যার পেছনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীই জড়িত রয়েছে। নব্য মুখোশ বাহিনীকে তারাই খুন-খারাবির কাজে নিয়োজিত করেছে।
বক্তারা অধিকারকামী নেতা-কর্মীদের হত্যা করে, অন্যায়ভাবে সামাজিক-ধর্মীয় কাজে বাধা সৃষ্টি করে পাহাড়ি জনগণের ন্যায্য সংগ্রামকে থামিয়ে রাখা যাবে না।
বক্তারা, সেনাবাহিনীর এসব অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানান। তারা অবিলম্বে মিঠুন চাকমার হত্যাকারী নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।