সেনা মদদপুষ্ট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লক্ষীছড়িতে পোস্টারিং, দেওয়াল লিখন

0


লক্ষীছড়ি প্রতিনিধ, সিএইচটি নিউজ
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানিকছড়ি-গুইমারা সীমান্তবর্তী তবলাপাড়া-কালাপানিতে জনতার ওপর হামলা-সন্ত্রাসে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও সন্ত্রাসীদের রক্ষক সেনা সদস্যদের বিচার-শাস্তির দাবিতে এবং ২০২৪ সালের ১৯-২০ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা খাগড়াছড়ি সদর ও রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলা ও সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ জুনান-রুবেল-ধনরঞ্জন-অনিকের স্মরণে পোস্টারিং, দেওয়াল লিখন ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর যৌথ উদ্যোগে লক্ষীছড়ি উপজেলার মেজরপাড়া, বাইন্যাছোলা, বর্মাছড়ি, হুদুকছড়ি, বড়পাড়া, চাইল্যাতুলি, বানরকাটা, সুমন্তপাড়া এবং লক্ষীছড়ি সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, “তবলাপাড়ায় হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার কর”, “তবলাপাড়ায় জনতা কর্তৃক ধৃত সন্ত্রাসীদের সেনারা ছাড়লো কেন? জবাব চাই”, “কালাপানিতে জনতার ওপর সেনা হামলার জবাব চাই”, “সেনাবাহিনীই সন্ত্রাসীদের রক্ষক ও মদতদাতা”, “অবিলম্বে সেনা ও ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাস বন্ধ কর”।

আর দেওয়া লিখন ও ফেস্টুনগুলোতে লেখা রয়েছে, “শহীদ জুনান-রুবেল-ধনরঞ্জন-অনিকের খুনী-জল্লাদদের দৌরাত্ম্য বরদাস্ত করবো না”, “অপারেশন উত্তরণের নামে দমন-পীড়ন বন্ধ কর”… ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সেনাবাহিনীর মদতপুষ্ট ৬ জন সশস্ত্র ঠ্যাঙাড়ে তবলাপাড়ায় প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করলে এলাকাবাসী তাদের প্রতিরোধ করে এবং আটক করে। পরে সেনাবাহিনী সেখানে উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে তাদেরকে জনতার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা কালাপানি এলাকায় প্রতিবাদ জানালে সেনাবাহিনী হামলা-লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীদের নিরাপদে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এ সময় সেনাবাহিনীর হামলায় অনেকে আহত হন।

* নীচে পোস্টারিং ও দেওয়াল লিখনের কিছু ছবি দেওয়া হলো:





This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More