স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার সফর দুরভিসন্ধিমূলক ও ফৌজি শাসকদের পদাঙ্ক অনুসরণ : ৮ সংগঠন
পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যাকে রাজনৈতিক সমস্যা আখ্যায়িত করে আট সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অতীতে স্বৈরাচারী সরকারসমূহ রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে বহিরাগতদের কাছে হাজার হাজার একর জমি অবৈধভাবে বন্দোবস্তী দিয়েছে। প্রকৃত ন্যায় বিচারের স্বার্থে এ জমি পাহাড়িদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। আর এ প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবে চলে আসে বহিরাগতদেরকে সমতলে নিজ এলাকায় পুনর্বাসনের বিষয়টি। ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাদেরও যথাযথ পুনর্বাসন জরম্নরী। অথচ সরকার মরুঝড়ে বালিতে উট পাখির মাথা গুঁজে থাকার মতো এ দিকটি বরাবরই উপেক্ষা করে চলেছে।’
নেতৃবৃন্দ সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনে যদি পার্বত্য চট্টগ্রামের আসল অধিবাসী প্রকৃত ভূমি মালিকদের আশা আকাঙ্ক্ষা ও দাবি দাওয়ার প্রতিফলন না ঘটে এবং স্থায়ী বাসিন্দারা যদি তাদের হারানো বংশ পরম্পরার পৈতৃক জায়গা-জমি ফিরে না পায়, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে পুনরায় গণবিদ্রোহ দেখা দিতে বাধ্য। আর তখন তার ফলাফলের দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্য চিং মারমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রভা চাকমা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।