অনলাইন ডেস্ক
সেনাবাহিনী ও ম্রোদের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়ে কেউ কি সাম্প্রতিক সময়ে প্রশ্ন তুলেছে কোথাও? হঠাৎ করে ব্যানার তুলে সৌহার্দের দাবী তুলতে হচ্ছে কেন?
কোন সন্ত্রাসবাদ রোখার কথা পোস্টারে বলা হয়েছে? ম্রোদের এই ভূমি রক্ষার, প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষার ডাকের সাথে সন্ত্রাসবাদের প্রাসংগিকতা কোথায়?
ম্রোদের এই আন্দোলন তাদের জীবন, তাদের সমাজ-সংস্কৃতি, তাদের জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্য ভূমি, প্রকৃতি, বন রক্ষার আন্দোলন।উন্নয়নের নামে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন। তাদের জীবনজীবিকার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানো পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলন। আজকের এই নাটক-মানববন্ধনের মাধ্যমে তাদের এই ন্যায্য আন্দোলনকে অন্য রূপ দিয়ে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন পাড়া থেকে, এমনকি আলীকদম থেকে ম্রো ব্যক্তিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, মিথ্যে বলে, জোর করে নিয়ে এসে প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যানার-পোস্টার ধরিয়ে দিলে সে ব্যানার-পোস্টারের লেখাগুলো ‘বান্দরবানের ম্রো সম্প্রদায়ের’ বক্তব্য হয়ে যায় না।
বিলেইছড়ির মারমা দুই বোনের ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনার সময় তাদের বাবা-মা ছোটভাইকে ভয় দেখিয়ে জোর করে নিয়ে এসে প্রেস কনফারেন্স ডেকে জনৈক রাসেল মারমাকে দিয়ে আগে থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনানোর সাথে আজকের নাটক-মানববন্ধনের কোন পার্থক্য নেই। বরং যে ধারাবাহিকতায় নাটকের পর্বগুলো মঞ্চস্থ হওয়ার কথা, সে ধারাতেই অগ্রসর হচ্ছে।
একটা পোস্টারে লেখা আছে “পাহাড়ে হোক পর্যটন, ম্রোদের হোক উন্নয়ন”। পাহাড়ে পর্যটনের প্রসার হয়ে এ পর্যন্ত ম্রো জনগোষ্ঠীই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর পকেট ভারী হয়েছে ক্ষমতাবানদের। ভয়ের আর নিপীড়নের রামদা মাথার উপর রেখে পাহাড়ে আগ্রাসী পর্যটনে আর যাই হোক ম্রোদের উন্নয়ন হবে না।
* লেখাটি Yan Yan এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত/প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।