ঢাকা : অবিলম্বে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে উদ্ধারের দাবিতে আজ ৬ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়ন বিরোধী নারী-যুব-ছাত্র সংগঠনমূহ’ ব্যানারে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশিনের সদস্য মেঘনা গুহ ঠাকুরতা মন্টি ও দয়াসোনা চাকমাকে উদ্ধারের দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তাদের মু্িক্তর ব্যাপারে যা যা করার দরকার তিনি তা করবেন বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, আমরা যখন কল্পনা চাকমাকে হাড়িয়েছি তখনো সেনাশাসন ছিল, বর্তমানেও আছে। পার্থক্যটা হলো তখনকার সময়ে সেনাবাহিনী সামনে আসলেও বর্তমানে পেছনে থেকে ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়িদের গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া, রমেল চাকমা ও মিঠুন চাকমাকে হত্যা ইত্যাদি ব্যাপারে আমাদের সুনির্দিষ্ট অনুসন্ধান আছে এবং মানবাধিকার কমিশন স্পষ্টভাবে দেখিয়েছিলো যে এর পেছনে সেনাবাহিনী জড়িত ছিলো।
তিনি বলেন, আমরা দেখে আসছি ইউপিডিএফ’র নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে, নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হচ্ছে। যার কারণে মন্টি ও দয়াসোনা চাকমা টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। তিনি বলেন, চলমান অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ৯২ সালে আমরা মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটি করেছিলাম। যেসময় আমরা যে দাবিগুলো উত্থাপন করেছিলাম সেগুলো এখনো পুরণ হয়নি। দাবির মধ্যে একটা ছিলো সব ধরণের নির্যাতন হত্যাকাণ্ডগুলোর সুষ্ঠু ও বস্তুনিস্তভাবে তদন্ত করে এর জন্য দায়ি যারা তাদেরকে আইনের আওতায় আনা এবং বিচার করা। আরো দাবি ছিলো ভূমি সমস্যা সমাধান করা। ভূমির উপর সেখানকার মানুষের যে প্রাথমিক অধিকার সেটা নিশ্চিত করা, বাঙালি ভিন্ন অন্য জাতিসত্তাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া।
তিনি আরো বলেন, কোন জাতি কি নামে পরিচিত হতে চাইবে সেটা ঠিক করার অধিকার তারা নিজেরা রাখে, অন্য কেউ বলে দিলে তা হবে না। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সান্তাল ইত্যাদি যে জাতিগত পরিচয় আছে সে পরিচয়ে তাদেরকে সংবিধানে স্বীকৃতি দিতে হবে। সেই স্বীকৃতি এখন পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এই স্বীকৃতি না দেয়ার মাধ্যমে তাদেরকে অস্বীকার করা হচ্ছে ঠিক যেভাবে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অস্বীকার করে আসছে।
সেই অস্বীকৃতিকে ঠিকিয়ে রাখার জন্য বল প্রয়োগ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে কাপ্তাই বাঁধ তৈরী করা হয়েছিলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে। সেই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের নামে সেখানকার লক্ষাধিক মানুষকে উচ্ছেদ করে তারপরে যে অশান্তির বীজ বপন করা হয়েছিলো সেই অশান্তি এখনো চলছে। উন্নয়ন যদি ভূল এবং জনবিরোধী হয় তার পরিণতি যে কি হয় তা পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত সহিংসতা, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংস তা একটা দৃষ্টান্ত। গত চল্লিশ বছর ধরে বাঙালি স্বার্থ রক্ষার নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক বাহিনী শাসন চলছে। সেখানে মোতায়েন বিপুল পরিমাণ সেনাবাহিনীর খরচ যোগানো হচ্ছে সংখ্যারিষ্ঠ বাঙালির করের টাকায়। কিন্তু এই সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা জানেনা তাদের টাকা খরচ করে সেখানে যে সামরিক বাহিনীর শাসন চলছে সেই শাসনের সুবিধাভোগি কারা। সেই শাসনের সুবিধাভোগি বাঙালি নয়, সেই সুবিধাভোগি হচ্ছে সামরিক বেসামরিক বড় আমলা, বড় ব্যবসায়ি, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যারা আছে এবং বিভিন্ন ধরণের ক্ষমতাবান তারাই পাহাড় দখল করে ব্যবসা বাণিজ্য করে সেখানে একটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তকরণ ব্যবস্থা করেছে। সেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তকে ঠিকিয়ে রাখার জন্য পাহাড়িদের মধ্যেও তৈরী করেছে একটি সুবিধাভোগী রাজাকার গোষ্ঠী, যারা জাতিতে বাঙালি নয়। মূলত বাঙালিদের শাসক-শোষকের ছোট্ট অংশটি বাঙালিদের স্বার্থ রক্ষার নামে সম্পূর্ণ নিজেদের স্বার্থে সেখানে সেনা শাসন জারি রেখেছে। কিন্তু এমনভাবে প্রচারণা চালানো হয় যা সাধারণ বাঙালিরা মনে করে সেখানে বাঙালির স্বার্থে সেনাবাহিনী শাসন চলছে। আসলে কিন্তু মোটেই এটা নয়। বাস্তবে এর সাথে অন্য বৃহৎ অংশের বাঙালিদের স্বার্থের সাথে কোন সম্পর্ক নাই। বরং সেখানে বঙালিদের নিরাপত্তা ও স্বার্থকে নষ্ট করা হচ্ছে।
এসব খবরগুলো বাঙালি সমাজ যেন না জানতে পারে এজন্য নিয়ন্ত্রন করা হয় প্রচার মাধ্যম। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশে যে কত সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল রয়েছে তাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব ঘটনা ঘটে তার কতটুকু জায়গা হয়? তিনি সম্প্রতি দুই মারমা মেয়ে সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ণ এবং মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমার অপহরণ ঘটনা উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই খবরগুলো কয়টা পত্রিকা ও টিভিতে স্থান পেয়েছে? পায়নি। সম্পাদকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, তাদের উপর কোন চাপ নাই। কিন্তু দেখা যায় যেসমস্ত সংবাদ সরকার কিংবা ক্ষমতাবানদের পছন্দ হয়না সেসব তারা প্রচার করে না। যদি ঠিকঠাকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত খবর পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রচার করা হতো তাহলে দেশবাসী জানতে পারতো তাদের সাথে প্রতারণা করে, তাদেরকে ঠকিয়ে, তাদের করের টাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সংখ্যাগিরষ্ঠ মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কত ধরণের ঘটনা ঘটছে।
মন্টি এবং দয়াসোনা চাকমাকে উদ্ধারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে যারা সেখানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাঙালি বলেই তো তাদের ছাড়া হয় নাই। তাদেরকে আটকে দেয়া হয়েছে, কথা বলতে দেয়া হয় নাই। সেনাবাহিনী তাদেরকে ঐ অঞ্চল ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা গিয়ে কথা বলতে পারব না কেন? পার্বত্য চট্টগ্রামে যদি অন্যায় হয় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সম্পূর্ণ অধিকার বাংলাদেশের সব নাগরিকের আছে। সেই অধিকার রাষ্ট্রকে মানতে হবে এবং দিতে হবে। তিনি পাহাড় ও সমতালের যে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সূচিত হয়েছে তাকে স্বাগত জানান এবং তা আরো সক্রিয় ও জোরদার করার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, কল্পনা চাকমাকে অপহরণকারী সেনা কর্মকর্তার আজো বিচার হয়নি। তেমনিভাবে কুমিল্লায় তনু হত্যারও বিচার হয়নি। এসব ঘটনায় জড়িত সেনা সদস্যদের বিচার করা হলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হতো। কিন্তু এসব ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার কারণে পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নারী-ছাত্র-যুবকদেরকে সরকার ও প্রশাসনকে মোকাবেলা করতে হবে উল্লেখ করে ফয়জুল হাকিম বলেন, যারা জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পারে না, যারা নিজেরাই জনগণকে গুম করে, অপহরণ করে, বন্দুক যুদ্ধের নামে প্রতিদিন হত্যা করে তাদেরকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মন্টি চাকমা ও দয়া সোনা চাকমা অপহরণ ঘটনা সাধারণ কোন সাধারণ অপহরণের ঘটনা নয়, এটা একটি রাজনৈতিক ঘটনা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পার্বত্য অঞ্চলে গণতান্ত্রিক সংগঠন ইউপিডিএফ-কে নিশ্চিহ্ন করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি এই সিদ্ধান্তকে ও জাতিগত নিপীড়নকে মোকাবেলা করার জন্য ছাত্র-যুব-নারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহীদ ফেরদৌস সমাবেশে দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে বলেন, এই দাবি পাহাড়-সমতলে চলমান অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্তির দাবি। তিনি বলেন, যারা মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়ার কথা তাদের কাছে জীবন আরো বেশী বিপন্ন। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মদদে এদেশে মানুষ খুন হয়, ধর্ষণ হয় এবং হারিয়ে যায় পাহাড় থেকে, সমতল থেকে। আমরা এ অবস্থার অবসান চাই।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বছরের পর বছর ধরে অঘোষিতভাবে সেনাশাসন কায়েম রয়েছে। সেখানে বছরের পর বছর মানুষ তার ন্যূনতম নাগরিক অধিকার পায় না। সেখানে বছরের পর বছর রাষ্ট্র পাহাড়ি মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মদদে সমতল থেকে বিপুল সংখ্যক বাঙালি জনগোষ্ঠিকে বসানো হয়েছে। বাঙালিকে পাহাড়িদের বিরুদ্ধে উস্কে দেয়া হয়েছে। মুসলমান অমুসলমান পরিচয়কে উস্কে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মদদে সেটেলার এবং সেনাক্যাম্প বসানো হয়েছে। তিনি সমতলের মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের মতো বিপন্নতার মধ্যে থাকতে হয় না উল্লেখ করে বলেন, দেশের সংগুরু বাঙালি জনগোষ্ঠির দায়িত্ব রয়েছে পাহাড়ি মানুষদের জন্য আওয়াজ তোলার এবং তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া বলেন, আমাদেরকে আজ অপহৃত দুই নেত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে দাঁড়াতে হয়েছে। কেন আমাদেরকে উদ্ধারের দাবি জানাতে হবে? তাদের অন্য পরিচয় বাদ দিয়ে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সংবিধানের যে অধিকার রয়েছে এই জন্য রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো নিজ থেকে তাদেরকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেয়া। কিন্তু এখানে সে উদ্যোগ নেই, কোন তৎপরতাও নেই। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে একটা ক্রিমিনাল মামলা হয়েছে অথচ পুলিশ এখনো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে আমাদের দৃশ্যমান হয়নি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিগত ৯ বছরে আমাদের চিন্তা চেতনাকে এমন একটি জায়গায় কোণঠাসা করে রাখতে সক্ষম হয়েছে যেখানে আমরা একজন সত্যিকার অপরাধীর বিচার চাইতেও ভূলে যাচ্ছি। আমাদেরকে এখন বিচার চাওয়ার আগে বাঁচার চিন্তা করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে আমরা এ ধরণের চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছি।
আইন আইনের মতো চলে না, বিচার বিচারেরর মতো চলে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এখানে আইন বিচার সবকিছু আব্বু-আম্মুর কথা চলছে। শাসকগোষ্ঠী দেশে এমন এক অবস্থা তৈরি করেছে মানুষ বিচার চাওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে। আমরা এক দমবন্ধ হওয়া পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ লড়াই করছে, ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, এই বাংলার মাটিতে তারা প্রতিবাদ জারি রেখেছে। আশির দশক থেকে তাদের উপর যে নিপীড়ন চলছে সে নিপীড়নের ধারাবাহিকতা একটুও বদলায়নি। তারপরও পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেই যাচ্ছে।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ সেনাবাহিনীর বুটের তলায় পিষ্ট হচ্ছে। সেখানে আন্দোলনকারীদের যেমন নিরাপত্তা নেই একইভাবে সাধারণ মানুষেরও নিরাপত্তা নেই।
তিনি বলেন, পাকিস্তানী বাহিনী যেভাবে এদেশের মানুষের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে একই কায়দায় স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। তিনি গত ৩০ মার্চ নান্যাচরে সমাবেশে সেনা হামলার কথা তুলে ধরেন এবং পাহাড়-সমতলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে নিপীড়ন বিরোধী নারী-যুব-ছাত্র সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে চলমান নারী নির্যাতন, খুন, গুম অপহরণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এজন্য দেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দায়ী করেন।
তারা বলেন, সরকার সেনাবাহিনীকে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক আন্দোলন রুদ্ধ করে দিতে চাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তারা গত ৩০ মার্চ নানিয়াচরে আয়োজিত সমাবেশে সেনাবাহিনী কর্তৃক হামলা ও ঢাকা থেকে যাওয়া নারী-যুব-ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পে নিয়ে অপদস্থ করার ঘটনা তুলে ধরেন।
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মন্টি ও দয়াসোনা চাকমাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের দাবি জানান।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমার সভাপতিত্বে ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিনয়ন চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাইয়িদ ফেরদৌস ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া।
সমাাবেশে নিপীড়ন বিরোধী নারী-যুব-ছাত্র সংগঠনসমূহের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী’র সভাপতি বহ্নি শিখা জামালী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, বিপ্লবী নারী মুক্তি আহ্বায়ক নাসিমা নাজনীন, ছাত্র ঐক্য ফেরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আল ইমরান, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি এমএম পারভেজ লেলিন, সিপিবি নারী সেল-এর লুনা নূর, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, বিপ্লবী নারী ফোরাম’র আমেনা আক্তার, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের অর্থ সম্পাদক তসলিমা আক্তার বিউটি, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা চন্দ ও প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা।
এছাড়া সমাবেশে সংহতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আহমেদ কামাল ও সামিনা লুৎফা নিত্রা, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটির সদস্য রকিব পারভেজ ও গবেষক মিজানুর রহমান বিজয়।
_________
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।