অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে: মাইকেল চাকমা

0

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মাইকেল চাকমা।

ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের মতো অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও শ্রমিক হত্যা এবং শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর অন্যতম সংগঠক মাইকেল চাকমা।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে ২০২৫) সকাল ১১টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে ‘মে দিবস উদযাপন পরিষদ ২০২৫’ এর আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সমাবেশে ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার থামেনি। এখনো গুলি করে শ্রমিক হত্যা করা হচ্ছে, এখনো শ্রমিকদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত চা শ্রমিকরা ঠিকমত বেতন পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময় এসেছে। শ্রমিকশ্রেণি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে শ্রমিকশ্রেণির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই কেবল শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান এবং শ্রমিকদের অধিকার আদায় করা সম্ভব।

তিনি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা প্রদান এবং শ্রমিকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানান।


বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনে কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, মে দিবসের সংগ্রাম হচ্ছে সকল মালিকী ব্যবস্থার, মালিকী শোষণ, মালিকী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণির অভ্যুত্থান, ক্ষমতা দখল এবং সকল ধরনের শোষণ মুক্তির লড়াই। আর এ লড়াইটা হচ্ছে আমাদের এখানে সমস্ত শোষিত ও নিপীড়িত জাতি, গোষ্ঠীর ওপর যে নিপীড়ন চলছে, তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে সামরিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও লড়াই।

তিনি গ্রাম ও শহরে সর্বহারা শ্রেণি, শোষিত জনগণ, পাহাড়-সমতলে শোষিত-নিপীড়িত জাতি এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এদেশে পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদকে কবর দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির মুক্তির সংগ্রামকে বেগবান করার আহ্বান জানান।


সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন আহম্মেদ নাসু, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খানসহ বাংলাদেশে সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ সোশালিস্ট পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, শহীদ বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিক স্মৃতি সংসদের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় প্রদক্ষিণ করে সচিবালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More