অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত বান্দরবান রাবার ড্যাম: পানির চাপে এলাকার সড়কপথ ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ, জনদুর্ভোগ
বান্দরবান প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম

বান্দরবানের শীলকখালের ওপর এলজিইডি’র অপরিকফল্পতভাবে নির্মিত প্রায় ৮কোটি টাকার রাবার ড্যাম কৃষকদের কোন কাজেই আসছে না, বরং এটি চারশ’জন চাষীর পরিবারের গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে। গত মংগলবার নিশিরাতে ফোলানো রাবার ড্যামের উজানে মজুদ হওয়া ও প্রবাহমান পানির স্থিতির প্রচন্ড চাপে উজানে খালের পশ্চিমতীরে স্লুইচগেটের দুইপাশে আকস্মিকভাবে ভেংগে পড়ে। ফলে পানির স্রোতে সয়লাব হয়ে পাশের লেকের প্রায় ৫০ হাজার টাকা মুল্যের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে কয়েকশ’ একরের ফসলি জমি। কিবুকপাড়া-রাজবিলা সড়ক পথের কয়েকটি অংশ পানির চাপে ভেংগে যাওয়ায় বুধবার ভোর বেলা থেকেই এসড়ক পথে যানবাহন চলাচল বন্ধন হয়ে গেছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ। নির্মিত রাবার ড্যামের অতিরিক্ত পানির চাপ সহনীয়তা এবং প্রয়োজন সংখ্যক স্লুইচগেট না থাকায় শুরুতেই ড্যামের পানির চাপে পুরো এলাকা সয়লাব হয়ে পড়ে এবং এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার দুপুরে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা এলাকায় শীলকখালের ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম এলাকা পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী ও কৃষকরা অভিযোগ করেন,এলজিইডি’র অপরিকল্পিত ও অদক্ষ প্রকৌশলীদের নির্মাণ কাঠামোর কারণে কার্যত এ রাবার ড্যাম কৃষকদের কাজে আসবে না মর্মে নির্মাণের পর থেকেই শংকা প্রকাশ করা হয়েছিল। স্থানীয়দের এ শংকার কথা জানা সত্বেও শীলকখাল রাবার ড্যামের প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা তা আমলে নেয়নি। উল্টো কৃষকদের নানামুখি হয়রানি করা হয়। এলাকার কৃষক অনুচিং মারমা,শৈচিং মারমা ও চিংম্রা মং মারমা বলেন, গত দুইবছর আগে এলজিইডি প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শীলকখালের ওপর রাবার ড্যামটি নির্মাণ করে। কৃষকরা রাবার ড্যামের নির্মাণ স্থান বর্তমানে নির্মিত এলাকা থেকে আধাকিলোমিটার উজানে স্থাপনের জন্য বার বার অনুরোধ জানায়।কিন্তু সেই অনুরোধ কোন আমলেই নেয়নি এলজিইডি’র মাথাভারী প্রশাসন ও অদক্ষ প্রকৌশলী-কর্মকর্তারা। ফলে গত মংগলবার নিশিরাতেই রাবার ড্যামের পানির প্রচন্ড চাপে ড্যাম এলাকা ভেংগে তচনছ হয়ে গেছে।
বুধবার সকালে এলজিইডি’র কয়েকজন প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিধস্ত সড়কপথ এবং ভেংগে যাওয়া স্লুইচগেট এলাকা পুননির্মাণে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে রাবার ড্যাম এলাকার চারশ’ পাহাড়ি পরিবার তাদের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্নে শংকিত হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ক্যহ্লাখই এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি।